সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের আগেভাগে রাজস্থানে (Rajasthan) গেহলট-পাইলট দ্বন্দ্ব চরমে। নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করছেন কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট (Sachin Pilot)। ১১ এপ্রিল, মঙ্গলবার থেকেই বসুন্ধরা রাজে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে অনশনে বসার কথা তাঁর। এদিকে সোমবার রাতে বিবৃতি জারি করে পাইলটকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হাইকমান্ড। রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস (Congres) সভাপতি সুখজিন্দর সিং রানধাওয়ার জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাইলটের এই কর্মসূচি দলবিরোধী কার্যকলাপ বলে গন্য হবে।
রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট একদিনের অনশন প্রতিবাদ ঘোষণা করেন। জানান, বর্তমান কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ১১ এপ্রিল অনশন করবেন। কেন অনশন? শচীন জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী বিজেপির বসুন্ধরা রাজে সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির তদন্তের জন্য অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) কাছে আবেদন করেছিলেন তিনি। যদিও উত্তর পাননি। সচিন বলেন, “বসুন্ধরা রাজের আমলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আমরা দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলাম। …আমি প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাসী করি না। কিন্তু বিরোধী দল হিসেবে আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল। সেই কারণেই ক্ষমতায় এসেছি।” দেড় বছর আগে গেহলটকে এই বিষয়ে চিঠি লেখেন বলেও জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। যদিও সদুত্তর পাননি। এই কারণেই অনশন প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: দেশে কমল দৈনিক কোভিড সংক্রমণ, দ্রুতই কো-উইনে মিলবে কোভোভ্যাক্স, খরচ জানাল কেন্দ্র]
এরপরেই আসরে নামে হাইকম্যান্ড। সোমবার রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া বলেন, “পাইলট উপযুক্ত সময় গেহলট বিরোধী সাংবাদিক সম্মেলন করেননি।” আরও বলেন, “আগামী সোম বা মঙ্গলবার আমি জয়পুরে যাব। গেহলট ও পাইলটের সঙ্গে কথা বলব।” পাশাপাশি রানধাওয়া বলেন, “প্রদেশ সভাপতি হওয়ার পর পাইলটের সঙ্গে আমার ১০-১৫ বার সাক্ষাৎ হয়েছে। কখনওই তিনি এই বিষয় উত্থাপন করেননি। কেন? প্রশ্ন করা হবে কংগ্রেস নেতাকে।”
[আরও পড়ুন: মেয়ে মোবাইলে আসক্ত, ফোন কেড়ে নেন বাবা-মা, অভিমানে ৭ তলা থেকে ঝাঁপ কিশোরীর]
রাজস্থানের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুখজিন্দর সিং রানধাওয়ার জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মঙ্গলবার শচীন পাইলটের দিনব্যাপী অনশন, যা দলীয় স্বার্থবিরোধী এবং দলবিরোধী কার্যকলাপ। তাঁর নিজের সরকারের বিরুদ্ধেই কোনও বক্তব্য থাকলে গণমাধ্যম ও জনসমক্ষে না গিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করা উচিত ছিল।” বিবৃতিতে রানধাওয়া আরও বলেছেন, “আমি গত পাঁচ মাস ধরে AICC-এর ইনচার্জ। নিজের দাবি নিয়ে পাইলট আমার সঙ্গে কখনই আলোচনা করেননি। আমি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আলোচনার জন্য আবেদন করছি, কারণ তিনি কংগ্রেস পার্টির এক অবিসংবাদিত সম্পদ।”