সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসা করার সময় যুবতীর গায়ে হাত দিয়েছিলেন চিকিৎসক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই চিকিৎসকের গালে সপাটে চড় মারেন যুবতীর স্বামী। এই ঘটনায় অভিযুক্তের জামিন খারিজ করল কেরল হাই কোর্ট (Kerala High Court)। যদিও যুবকের অভিযোগ করেন, চিকিৎসক অভব্য ব্যবহার করেছেন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, রোগীকে একেবারে না ছুঁয়ে চিকিৎসা করা অসম্ভব। ফলে যুবকের অভিযোগ ধোপে টেকে না।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ জানুয়ারি সন্ধে ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় একটি হাসপাতালে। অসুস্থ স্ত্রীকে বহির্বিভাগে দেখাতে এনেছিলেন যুবক। সেই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক স্টেথিস্কোপ দিয়ে রোগীকে দেখছিলেন। তখনই আচমকা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন যুবক। অভিযোগ, ডাক্তারের কলার ধরে টেনে তাঁর গালে সপাটে চড় মারেন তিনি। পরে চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। তারপর থেকেই জেল হেফাজতে রয়েছেন যুবক।
[আরও পড়ুন: কেন আদালতে পেশ করা হল না অনুব্রতকে? দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের প্রশ্নের মুখে ED]
অভিযুক্তের জামিন খারিজ করার সময় বিচারপতিরা মন্তব্য করেন, “রোগী যদি চিকিৎসা চান তবে ডাক্তারকে তাঁর কাজ করতে দিতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীকে ছুঁতে হতে পারে। বাম বুকে স্টেথোস্কোপ দিয়ে হৃদযন্ত্রের স্পন্দন দেখতে হতে পারে।” যুবকের অভিযোগ উড়িয়ে জামিন খারিজ করে আদালত। তবে চিকিৎসক প্রকৃতই সীমা অতিক্রম করলে সেক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি, একথাও বলা হয় কেরল হাই কোর্টের তরফে।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ অতীত, ব্রিটেন সফরের জন্য লুক বদলে ফেললেন রাহুল গান্ধী]
শুনানিতে চিকিৎসকের আইনজীবী জানান, হাসপাতাল চত্বরে খোলা জায়গায় দু’জন নার্সের উপস্থিতিতে রোগী দেখছিলেন ওই ডাক্তার। এর থেকেই স্পষ্ট তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছিল। এছাড়াও যুবকের অপরাধের অতীত রয়েছে বলেও জানান তিনি।