সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধির বাজারে আমজনতার দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে নয়া অর্থবর্ষে বাড়তে চলেছে অত্যাবশ্যক ওষুধের দামও। ১ এপ্রিল থেকেই ব্যথানাশক, অ্যান্টিইনফেক্টিভ, হৃদরোগের ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক সহ ৮০০ রকম ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। গড়ে ১২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে যাবতীয় ওষুধের দাম। সোমবার একথা জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সার ও রসায়ন মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPA) সূত্রে।
গত বছর ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি ১০.৭ হারে ওষুধের মৃল্যবৃদ্ধিতে অনুমতি দিয়েছিল। চলতি বছরেও সরকার ওষুধ কোম্পানিগুলিকে বার্ষিক পাইকারি মূল্য সূচক (WPI)-এর পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখে দাম বৃদ্ধির অনুমতি দিতে প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে। ড্রাগস প্রাইস কন্ট্রোল ২০০৩-এর নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছরই ওষুধের পাইকারি মূল্যে পরিবর্তন হয়ে থাকে। কেন্দ্রের অনুমতির পর ওষুধ কোম্পানিগুলি তাদের পণ্যের দাম বাড়ায়। যার প্রভাব পড়ে কম-বেশি ৮০০ ওষুধের উপরে।
[আরও পড়ুন: সন্তানের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলে শাস্তি পাবেন মা-বাবা! কঠিন আইন এই দেশে]
চলতি বছরে ৩৮৪টি মলিকিউলের দাম, যা প্রায় ২৭ টি থেরাপির ৯০০ ফরমুলেশনের সঙ্গে মিলে যায় তাঁর দাম ১২ শতাংশের বেশি বাড়ব বলে মনে করা হচ্ছে। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর মূল্যবৃদ্ধির হার অ-নির্ধারিত ওষুধের ক্ষেত্রে অনুমোদিত হারের তুলনায় বেশি। অন্য নন শিডিউল্ড ড্রাগ, যা দামের নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তাঁদের দাম বাড়ার হার প্রতি বছরে ১০ শতাংশে নির্ধারিত। ডব্লিউপিআই-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০২১ সালে এই বৃদ্ধির হার ছিল ১০ শতাংশের বেশি। সাধারণত এই দাম বৃদ্ধির হার খুব কম হয়ে থাকে।
[আরও পড়ুন: ‘শি হ্যাজ পাস্ড অ্যাওয়ে’! মার্কশিটে পাশ করা ছাত্রীকে ‘মৃত’ বলে হাসির খোরাক শিক্ষিকা]
এদিকে সম্প্রতি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার আধিকারিকদের পরিদর্শনের পরে জাল ওষুধ তৈরির জন্য ১৮টি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।