সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালের তরুণ চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় শিউড়ে উঠেছে গোটা দেশ। বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে প্রতিবাদ পৌঁছে গিয়েছে দেশের অন্য রাজ্য এবং লন্ডনেও। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে প্রশাসনকে! এমতাবস্থায় আর জি কর ইস্যু নিয়ে তারকা রাজনীতিকদের একাংশের মৌনব্রত নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় প্রতিবাদও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। সেই আবহেই আর জি কর ইস্যুতে নীরবতা ভাঙলেন নুসরত জাহান এবং সোহম চক্রবর্তী।
সন্দেশখালি নিয়ে চুপ ছিলেন তৎকালীন সাংসদ নুসরত জাহান। ১৪৪ ধারা বলতে গিয়ে মুখ ফসকে '১৭৪ ধারা' বলে কটাক্ষের শিকারও হয়েছেন। তবে উত্তাল সন্দেশখালিতে না যাওয়ার কারণ হিসেবে যা বলেছিলেন, তাতেই শোরগোল বেঁধেছিল আরও। চব্বিশের লোকসভা ভোটে আর টিকিট পাননি নুসরত। এবার আর জি কর ইস্যুতে প্রতিবাদী পোস্ট অভিনেত্রীর। নুসরত জাহানের মন্তব্য, "৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের দোরগোড়ায় আমরা, তবে খুব কষ্ট হচ্ছে বলতে যে কলকাতা আর সিটি অফ জয় নেই। আর জি কর হাসপাতালের ঘটনা অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল। আমরা মহিলারা কি আদৌ নিরাপদ? রাতবিরেতে দেরি করে কর্মস্থলে থাকা কি হিংসার শিকার হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ? আমরা কি আদৌ স্বাধীন?" এরপরই নুসরতের সংযোজন, "কর্তব্যপরায়ণ একজন ডাক্তার, যিনি নিজের দায়িত্ব পালন করছিলেন রাতের শিফটে, তাঁকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে। আমাদের সমাজে যে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে তা, বুঝিয়ে দিল এই মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা কল্পনাও করতে পারব না, ওঁর পরিবার এই ঘটনায় কতটা যন্ত্রণা পেয়েছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। যাঁরা প্রশাসনে বা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে আমি এই ঘটনার বিরুদ্ধে দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ করার অনুরোধ করছি। এই নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। সকলের জন্য সুরক্ষিত পরিবেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে।" ওই একই পোস্ট শেয়ার করেছেন যশ দাশগুপ্তও।
[আরও পড়ুন: RG Kar: ‘ফাঁসিতে ঝোলানো হোক’, এবার সুর চড়া বলিউডের, প্রতিবাদ সোনাক্ষী-পরিণীতি, আয়ুষ্মানদের]
প্রসঙ্গত, বুধবার বেহালার প্রাক স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আর জি কর ইস্যুতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে যখন রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন সোহম চক্রবর্তী, আর জি করের নির্যাতিতাকে 'বোন' বলে সম্বোধন করলেন। শাসক দলের তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর মন্তব্য, "বয়সে আমার থেকে অনেকটা ছোট ও, তাই দাদা হিসেবে বিচার চাই। সঠিক বিচার না হওয়া অবধি সবাই ওঁর পরিবারের পাশে থাকব। ন্যায় পাবেই বোনটা। অন্যায়ের প্রতিবাদ হওয়া উচিত আর যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীর কঠোরতম শাস্তি হোক। লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে কলকাতার একজন নাগরিক হিসেবে আমিও চাই বিচার হোক, যেটা সত্যি সেটা সকলের সামনে আসুক। প্রতিবাদের ভাষা যাঁর যাঁর নিজের মতো করেই হোক।" সংবাদমাধ্যমের কাছে কলকাতা পুলিশের প্রশংসা করে সোহম জানান, "শহর কলকাতার মেয়েরা কাজের শেষে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, তা সম্ভব হয়েছে কলকাতা পুলিশের জন্যই।"