সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা। শনিবারের পর রবিবারও বাতিল হয়ে গিয়েছে বহু ট্রেন। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি ফিরতে পারছেন না অনেকেই। তাঁদের সমস্যা মেটাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল ওড়িশা সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ঘোষণা করেন, পুরী, ভুবনেশ্বর ও কটক থেকে কলকাতা পর্যন্ত বিশেষ বাস পরিষেবা চালু হচ্ছে। একেবারে বিনামূল্যে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন আটকে পড়ারা। রোজ ৫০টি করে বাস চলবে।
আজ, রবিবার থেকে থেকেই চালু হয়ে গেল এই সার্ভিস বলে জানান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। যতদিন না পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন এই পরিষেবা চলবে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এই পরিষেবার জন্য যাবতীয় খরচ করা হবে বলে জানান নবীন পট্টনায়েক।
[আরও পড়ুন: ‘দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দিন নিজেদের বেতন’, সাংসদদের আরজি বরুণ গান্ধীর]
এই পরিষেবা প্রদানের কথা ঘোষণার আগেই এদিন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় তাঁর রাজ্যের যে যাত্রীরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে। উল্লেখ্য়, শুক্রবার সন্ধেয় ভয়ংকর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তিনটি ট্রেন। শালিমার-চেন্নাইয়ের পাশাপাশি প্রাণ হারান হামসফর ট্রেনের যাত্রীও। এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হলেও ওড়িশা সরকার দাবি করেছে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৫ জন।
এদিকে, এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ ক্ষতিগ্রস্ত ডাউন লাইনটিকে মেরামতির পর ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছে রেল। ফলে ট্রেন চলাচল শুরু হতে বাধা নেই। বিশেষ ট্রেনে দ্বিতীয় দিন হাওড়ায় ফেরেন আহত যাত্রীরা। অনেকে এদিন ট্রেন থেকে নেমেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। বেঁচে ফেরায় আবেগে ভাসেন বহু যাত্রী। দুর্ঘটনায় আহত প্রায় শতাধিক যাত্রী হাওড়ায় ফেরেন। যাঁদের মধ্যে ছ’জনের চিকিৎসা হয় স্টেশনের স্বাস্থ্য ক্যাম্পে। দু’জনের আঘাত বেশি থাকায় একজনকে হাওড়া ও অন্য জনকে এনআরএস হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার চারটি ট্রেন হাওড়া ও একটি সাঁতরাগাছিতে আসে। এদিন দু’টি বিশেষ ট্রেন হাওড়া থেকে বলেশ্বর যায়।