সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: তীব্র গরমে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। বৃষ্টির দেখা কবে মিলবে, তার ঠিক নেই। এই আবহে গরমের ছুটি কাটিয়ে খুলেছে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল। তবে দাবদাহে নাজেহাল দশা পডু়য়াদের। গরমের জন্য স্কুলে যাচ্ছে না অনেক ছাত্রছাত্রী। অনেক অভিভাবকরাও বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। ফলে ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনা। তাই পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে অভিনব উদ্যোগ নিল নদিয়ার এক প্রাথমিক স্কুল। শ্রেণীকক্ষে বসানো হল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা এসি।
নদিয়া (Nadia) জেলার হবিবপুরের (Habibpur) দোহারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫২। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ৫ জন। আগের থেকে বেড়েছে পড়ুয়ার সংখ্যা। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে স্কুলে যেতে চাইছে না খুদেরা। এই কথা জানতে পেরে স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন এসি বসানোর। যেমন ভাবা তেমন কাজ! স্কুলের উন্নয়নের জন্য আসা টাকা থেকে খরচ বাঁচিয়ে কেনা হয়েছে বাতানুকূল যন্ত্র। যার ফলে বেশ গরমের জ্বালা থেকে রেহাই পেয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। বেড়েছে বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হারও।
[আরও পড়ুন: আচমকা ভেঙে পড়ল চলন্ত উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের এসি! বরাতজোড়ে রক্ষা যাত্রীদের]
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, "প্রত্যেকটি বিদ্যালয়েই উন্নয়নের অর্থ আসে। আমাদের বিদ্যালয়ের সেই অর্থ থেকে কিছু কিছু করে টাকা বাঁচিয়ে এবং নিজেদের উদ্যোগে আমরা বিদ্যালয়ে এই এসির ব্যবস্থা করেছি। সমস্ত বিষয়টি পঞ্চায়েত এবং বিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই করা হয়েছে।"
তবে বিদ্যুৎ বিল যে অনেকটাই আসবে, একথা শুনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, "বারো মাস তো আর এসি চালাব না। চলবে এক মাস। তাই বাড়তি বিল আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের পকেট থেকেই মিটিয়ে দেব। ইদানীং এতটাই গরম পড়েছে যে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলমুখ হচ্ছে না। তাদের স্কুলে ফেরাতেই আমাদের এই ব্যবস্থা।"