সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচরণ ছিঁচকে চোরের মতো হলেও ইনি যে সে চোর নন, একেবারে প্রযুক্তিবিদ! করোনাকালে চাকরি হারিয়ে রীতিমতো প্যাঁচে পড়ে বাধ্য হয়ে চুরিবিদ্যায় হাত পাকিয়েছেন যুবতী। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রকাশ্যে এল নির্মম সত্য।
বেঙ্গালুরু শহরে একাধিক পেয়িং গেস্ট ও হোস্টেলে সম্প্রতি ব্যাপকভাবে বেড়েছিল চুরি। একের পর এক অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। কথায় বলে, ‘চোরের ১০ দিন তো গৃহস্থের একদিন।’ সেইমতো সিসিটিভির সূত্র ধরে পুলিশ খোঁজ পায় জেসিকা আগরওয়াল নামে এক ২৬ বছর বয়সি যুবতীর। গত ২৬ মার্চ তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ২৪ টি ল্যাপটপ-সহ অন্যান্য সামগ্রী। যার বাজার মূল্য ১০-১৫ লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন: ‘ফিল্মি কেরিয়ার ব্যর্থ, তাই রাজনীতিতে আক্ষেপ মেটাচ্ছে’, হিরণকে তুলোধোনা দেবের]
জেসিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, বর্তমানে পাকাপাকি তস্কর বৃত্তিতে নামলেও একসময়ে আইটিতে (IT Employee) মোটা মাইনের চাকরি করতেন জেসিকা। কর্ম সূত্রে নয়ডা থেকে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) এসে থাকতে শুরু করেন তিনি। তবে করোনাকালে একের পর এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় ব্যাপক ছাঁটাইয়ের শিকার হন জেসিকাও। চাকরি যায় তাঁর। পুলিশের কাছে ওই যুবতীর দাবি, চাকরি হারিয়ে পেটের তাগিদে বাধ্য হয়ে চুরির পেশায় নামতে হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: কঙ্গনার অনুপ্রেরণাতেই রাজনীতিতে কৃতী স্যানন? ভোটের মুখে বড় কথা অভিনেত্রীর!]
পুলিশের দাবি, শুরুতে কোনও পথ না পেয়ে চুরি শুরু করলেও ধীরে ধীরে রীতিমতো হাত পাকিয়ে এটাই হয়ে ওঠে জেসিকার পেশা। তাঁর টার্গেট হয় শহরের বিভিন্ন পেয়িং গেস্ট ও হোস্টেলগুলি। সুযোগ বুঝে তিনি হাতিয়ে নিতেন ল্যাপটপ, ফোন-সহ অন্যান্য দামি গ্যাজেট। সেগুলি তিনি পরে নয়ডার কালোবাজারে বিক্রি করতেন। আয়ও হত ভালোই। সম্প্রতি এমনই একটি পিজিতে চুরি করতে গিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েন জেসিকা। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।