সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারীকে ফুলের সঙ্গে তুলনা করেন কবি, তবে এক্ষেত্রে বলা যায়, ‘ফুলের’ হাত থেকে ফুলকে বাঁচানো দায় হচ্ছে। এমন অবস্থা যে পশ্চিম কম্বোডিয়ার (West Cambodia) পার্বত্য এলাকার ওই ফুল বাঁচাতে ময়দানে নামতে হয়েছে প্রশাসনকে। স্পষ্ট করা হয়েছে, ফুল ছিঁড়লে বা নষ্ট করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন প্রশ্ন হল, হঠাৎ একটি ফুল নিয়ে ক্ষেপে উঠল কেন সেদেশের মেয়েরা?
কারণ ওই ফুলটিকে দেখতে অবিকল পুরুষাঙ্গের মতো। এমনিতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই পুরুষাঙ্গের মতো দেখতে ওই ফুল নিয়ে কৌতূহলী। তবে কিনা মেয়েদের মধ্যে উৎসাহটা অনেক বেশি। আসলে অদ্ভূত দর্শন ফুলটিকে নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয় সম্প্রতি। তারপরেই উৎসাহের বিস্ফোরণ হয়েছে। এবং সকলেই ছুটছে বোকোর (Bokor) পাহাড়ে। কেন?
[আরও পড়ুন: হবু বরকে গ্রেপ্তার করেছিলেন, এবার জেলে যেতে হল অসমের ‘লেডি সিংহম’কেই]
কারণ মূলত এই পাহাড়েই দেখা যায় কম্বোডিয়ান নেপেনথিস হোলডেনি (Cambodian Nepenthes Holdenii)। হ্যাঁ, এই হল গাছের নাম, যে গাছে অবিকল পুরুষাঙ্গের আকারের ফুলের দেখা মেলে। মুখে মুখে যে ‘ফুলের’ নাম ‘পেনিস ফ্লাই ট্র্যাপ’। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিঙ্গের মতো অংশটি প্রাথমিক ভাবে ফুল মনে হলেও এটি আদতে ফুল নয়, রূপান্তরিত পাতা। এখন সেই ‘ফুল’ বাঁচাতেই পদক্ষেপ করার কথা ভাবতে হচ্ছে কম্বোডিয়ার প্রশাসনকে। কারণ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই ‘ফুল’ দেখতে ও তা ছিঁড়ে নিতে, তার সঙ্গে ছবি তুলতে মেয়েরা শোরগোল বাধিয়ে দিয়েছে। এমনকী বিদেশ থেকেও সুন্দরী পর্যটকরা হাজির হচ্ছেন পশ্চিম কম্বোডিয়ার ওই পাহাড়ি অঞ্চলে। আশ্চর্য ‘ফুল’ চাক্ষুষ করতে। প্রশ্ন হঠে, মেয়েদের ‘পেনিস ফ্লাই ট্র্যাপ’ নিতে বারণ করছে কেন প্রশাসন? শুধুই কি গাছ বাঁচাতে?
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরি পণ্ডিত শিক্ষকদের পুনর্বাসনের তালিকা ফাঁস, তোপের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার]
না, সেটাই একমাত্র কারণ নয়। আরও এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। আসলে ওই ফুলটিকে দেখতে যেমনই হোক সেটি কিন্তু বেজায় বিষাক্তও। তা থেকে কঠিন কোনও রোগ হতে পারে বলে আশঙ্কা কম্বোডিয়া প্রশাসনের। সেই কারণেও অবিকল পুরুষাঙ্গের মতো চেহারার ফুলটি থেকে দূরে থাকতে বলা হচ্ছে। যদিও তাতেও ঠেকানো যাচ্ছে না মেয়েদের। এদিকে এভাবে সবুজ নষ্ট করা নিয়ে বিরক্ত দেশটির পরিবেশ কর্মীরাও। বাধ্য হয়ে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে প্রশাসন।