সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দল তাঁর উপর আস্থা রাখেনি। মহারাষ্ট্রের পালঘর কেন্দ্রে থেকে এবার অন্য কাউকে টিকিট দিয়েছে শিন্ডের শিবসেনা। যার জেরে অভিমানে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে দলকে গালমন্দ করে ঘর ছাড়লেন শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের ৪২ বছর বয়সি বিধায়ক শ্রীনিবাস ভাঙ্গা। গত ১৫ ঘণ্টা ধরে তাঁর কোনও খোঁজ নেই বলে জানা যাচ্ছে। এই অবস্থায় বিধায়কের খোঁজ পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিজের কেন্দ্রে এবার টিকিট না পেয়ে মানসিকভাবে ভীষণরকম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন শ্রীনিবাস। এমনকী গত দুদিন ধরে খাওয়া-দাওয়াও ছেড়ে দিয়েছিলেন। ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি জানিয়েছিলেন, আমি একনাথ শিন্ডের দলকে সমর্থন দিলাম বিনিময়ে এই পুরস্কার আমার প্রাপ্য ছিল! পরিবারের দাবি, অবসাদ এত গভীর আকার নিয়েছিল যে আত্মহত্যার কথাও ভাবছিলেন তিনি। পুলিশের কাছে পরিবারের দাবি, সোমবার রাত থেকে কোনও খোঁজ নেই ওই বিধায়কের। শুধু তাই নয় এক মারাঠি সংবাদ মাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, শ্রীনিবাসকে বোঝাতে তাঁর স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।
শ্রীনিবাসের স্ত্রী সুমন ভাঙ্গা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে আমাকে ফোন করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, বিধানসভায় টিকিট না পেলেও বিধান পরিষদে জায়গা দেওয়া হবে তাঁকে। তবে কোনও কথাই শুনতে নারাজ ছিলেন বিধায়ক। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু হয়। বার বার তাঁকে ফোনে ধরার চেষ্টা করা হলেও, বিধায়কের ফোন সুইচ অফ বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আজই শেষ দিন। তবে একাধিক আসনে প্রার্থী নিয়ে বিবাদ এখন জারি রয়েছে। টিকিট না পেয়ে বহু নেতা এবার নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে বাকিদের মতো টিকিট না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পথে না হেঁটে অভিমানে বাড়ি ছাড়া হলেন শিন্ডে সেনার বিধায়ক শ্রীনিবাস।