বাবুল হক, মালদহ: সাজানো রথ! পিছনে একাধিক চারচাকা গাড়ি। আনা হয়েছে ডিজে। রয়েছে প্রায় আড়াইশো লোক। না কোনও বিয়েবাড়ি নয়! কন্যাসন্তানকে স্বাগত জানাতে হাসপাতালের সামনে এই আয়োজন বাবার। রথে কন্যাকে বাড়ি নিয়ে গেল পরিবার।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা সানজুরি খাতুন ও শেখ শামিউল। ২ ডিসেম্বর হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন সানজুরি। এটাই দম্পতির প্রথম সন্তান। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান সানজুরি। আগে থেকেই সব তৈরি রেখেছিলেন শামিউল। বিশাল শোভাযাত্রা করে প্রথম সন্তানকে বাড়ি তুলল পরিবার। পরিবার জানাচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যেই ভোজের আয়োজন করা হবে। গ্রামবাসীকে আমন্ত্রণ জানাবেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার রাতে সদ্যোজাত ও মাকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে সুসজ্জিত রথে করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পেছনে ছিল চারচাকা গাড়ির সারি। ছিলেন শামিউলের প্রচুর সংখ্যক বন্ধু-বান্ধব। গান বাজনায় সে যেন এক বিশাল উৎসবের আমেজ। রথের পিছনে শতাধিক গ্রামবাসী গান বাজিয়ে, হৈহুল্লোড় করতে করতে ফিরেছেন গ্রামে।
শামিউল বলেন, "প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছে স্ত্রী। আমি ওকে আগেই বলেছিলাম কন্যা সন্তান হলে শোভাযাত্রা করে বাড়িতে নিয়ে যাব। রথ, ডিজে নিয়ে এসেছি। আমার সঙ্গে গ্রামের আড়াইশো লোক এখানে এসেছেন। আমরা খুব খুশি।" কিন্তু শুধুই কি খুশিতে এই এলাহি আয়োজন? সামিউল জানাচ্ছেন, আনন্দতো বটেই, সঙ্গে সমাজকে বার্তা দিতে চেয়েছেন কন্যাসন্তান কোনও বোঝা নয়। সামিউলের মা নাজরা বিবি বলেন, "আমরা খুব খুশি। সকলকে মিষ্টি মুখ করানো হবে। খুব তাড়াতাড়ি বড় অনুষ্ঠান হবে। গ্রামবাসীর নিমন্ত্রণ থাকবে।"
