সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসঙ্গে তিন-চারটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি! দিনে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আয়! এমনই প্রতারণার অভিযোগে বেকায়দায় সোহম পারেখ নামের ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার। মার্কিন সংবাদপত্রগুলির শিরোনামে ঘুরেফিরে আসছে তাঁরই নাম।
প্রশ্ন উঠছে, এমন কাণ্ড ঘটালেন কী করে ওই আইটি কর্মী? আসলে তিনি যা করেছেন তা নতুন নয়। অনেকেই অভিযুক্ত হন মুনলাইটিং-এর দায়ে। কিন্তু কী এই মুনলাইটিং? একই সঙ্গে একাধিক সংস্থায় ফুল-টাইম কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকাকেই মুনলাইটিং বলা হয়। আর সেই কাজই করে ফেলার অভিযোগে কাঠগড়ায় সোহম। দু'টি সংস্থা নয়, একবারেই তিন-চারটি করে সংস্থায় কাজ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সোহম মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এহেন মেধাবী ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার সোহমের বিরুদ্ধেই উঠছে অভিনব মুনলাইটিংয়ের অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ সামনে আসতেই সোহমকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই সঙ্গে আরও অভিযোগ, সোহম লিঙ্কডিন প্রোফাইলে নিজের কাজের অভিজ্ঞতার যে তথ্য দিয়ে রেখেছেন তার ৯০ শতাংশই মিথ্যা। তবে এই সব অভিযোগ নিয়ে এখনও জনসমক্ষে কিছু বলেননি সোহম পারেখ।
এদিকে সোহম যে সংস্থাগুলিতে কাজ করেছিলেন তারই অন্যতম মিক্সপ্যানেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সুহেল দোশী দাবি করেছেন, তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে মেসেজ করে ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। পাশাপাশি এই পরিস্থিতি থেকে কী করে বেরিয়ে আসা যায় সেই পরামর্শও নাকি সোহম চেয়েছেন। সোহম দোশিকে মেসেজে লিখেছেন, 'আমি কি আমার কেরিয়ার নিজের হাতে শেষ করেছি? এই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বেরতে পারি? কোনও উপায় আছে?' সুহেল দোশী আরও দাবি করেছেন, তিনি নাকি অনেকবার সোহমকে বুঝিয়েছিলেন এইরকম না করতে। তবুও সোহম শোনেননি। এই ঘটনা সামনে আসার পর তোলপাড় পড়ে গিয়েছে এআই দুনিয়ায়।
