অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের গল্প ফেঁদেছিলেন। থানায় সেই অভিযোগও জানান। সেই অভিযোগ ভিত্তিতে তদন্তে নেমে রীতিমতো চক্ষুচড়কগাছ পুলিশের। বোঝা গেল, গৃহকর্তা নিজেই নিজের ঘরে চুরি করিয়েছেন। আর তার পর গল্প ফেঁদে পুলিশে অভিযোগ জানান। অভিযোগকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং (Sabang) থানা এলাকায় কসবা থেকে ধৃত দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়, বয়স ৩৯ বছর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের বাড়ি কেশপুর এলাকায়। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী সূত্রে সবং থানার অন্তর্গত কসবা এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। বুধবার তিনি স্থানীয় ব্যাংকে ৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তুলেন। তার পর সেই টাকার ব্যাগ বাইকে ঝুলিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় হঠাৎই দুই দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনতাই (Theft) করে পালিয়ে যায়। বুধবার ওই যুবক সবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্তে নেমে চক্ষুচড়কগাছ সবং থানা পুলিশ আধিকারিকদের। তাঁরা জানতে পারেন, দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় নামে ওই যুবক টাকাগুলো নিজের বাড়িতে রেখেই ছিনতাইয়ের গল্প ফেঁদেছিলেন। তিনি আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। পাশাপাশি বাজারে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকারও বেশি দেনা রয়েছে। আর সেই কারণেই এই কৌশল।
[আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীদেরও ভরসা মমতার প্রকল্পে! সুকান্তর মিছিলেও দেখা মিলল সবুজসাথীর সাইকেলের]
কিন্তু অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় ওই যুবককেই বার বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই যুবকের কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায়, তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে সব কথা স্বীকার করে নেয় ওই যুবক। সূত্রের আরও খবর, এই ঘটনার পর ওই যুবকের স্ত্রী স্বামীকে ছাড়ানোর জন্য নিজেকে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) উচ্চপদস্থ আধিকারিকের আত্মীয় এই পরিচয় দেয়। তার পর একাধিক পুলিশ আধিকারিককে দিয়ে সবং থানার পুলিশ আধিকারিকদের হুমকি দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের ৪ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস, ভিজতে পারে উত্তরবঙ্গও]
যদিও তার স্ত্রীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। ধৃত ওই যুবককে মেদিনীপুর জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।