সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কাজনক রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেয় অ্যাম্বুল্যান্স। কিংবা অসুস্থকে ফিরিয়ে দেয় বাড়িতে। সেই কারণেই অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ করে দেয় অন্য যানবাহানগুলি। সেই সুযোগ কাজ লাগিয়ে দ্রুত কেদারনাথে পৌঁছতে দু'টি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে রওনা দিয়েছিলেন কয়েক জন পুণ্যার্থী। যদিও শেষরক্ষা হল না। ওই অ্যাম্বুল্যান্সের পথ আটকায় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করে দু'টি গাড়ি। দুই চালকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পুণ্যার্থীরা ১৪ জুন হরিদ্বার থেকে কেদারনাথের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। ভিড় যানজট এড়িয়ে দ্রুত মন্দিরে পৌঁছতে দুটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করেছিলেন তাঁরা। সাইরেন বাজিয়ে কেদারনাথের উদ্দেশে রওনাও দেন। সাধারণত অ্যাম্বুল্যান্স আটকায় না পুলিশ। সিগন্যালগুলিতেও ছাড় মেলে। প্রাথমিকভাবে কৌশল সফলও হয়। কিন্তু সোনপ্রয়াগে পৌঁছতেই সন্দেহজনক অ্যাম্বুল্যান্সটিকে দাঁড় করায় পুলিশ।
অ্যাম্বুল্যান্সটিতে তল্লাশি হতেই ধরা পড়ে যান পুণ্যার্থীরা। দেখা যায় ভিতরে অসুস্থ কেউ নেই। সামান্য জিজ্ঞাসাবাদেই পর্দাফাঁস হয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, একটি অ্য়াম্বুলেন্স রাজস্থানের, অন্যটি হরিদ্বারে ভাড়া করা হয়েছিল। দুই অ্যাম্বুল্যান্স চালককেই জরিমানা করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রবিবার ভোরে গৌরীকুণ্ডের কাছে জঙ্গলে পাঁচ পর্যটককে নিয়ে ভেঙে পড়ে একটি হেলিকপ্টার। এই ঘটনায় মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়। কয়েক দিন আগে আরও একটি হেলকপ্টার ভেঙে পড়ে কেদারনাথের পথে। পর পর দুর্ঘটনার মধ্যে অ্যাম্বুল্যান্স চেপে দ্রুত তীর্থস্থানে পৌঁছনের কৌশলকে বিপজ্জনক বলেই মনে করছে প্রশাসন।