সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কনের হাতের মেহেন্দি তখনও শুকোয়নি। বিয়েবাড়ির অতিথিরা তখনও আনন্দে মেতে। এরই মধ্যে দুঃসংবাদ, বর আর কনে নাকি একসঙ্গে থাকতে চান না। ২ বছর ধরে প্রেম করে বিয়ে করার হঠাৎই তাঁদের মনে হয়েছে, একসঙ্গে থাকা যাবে না। তাই বিয়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত। যা দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্নও হয়ে যায় আদালতে।
পাত্র ইঞ্জিনিয়র, পাত্রী ডাক্তার। মহারাষ্ট্রের পুণের ওই যুগল প্রায় দু'বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন। তারপর বিয়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু বিয়ের পরই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। কারণ চাকরিসূত্রে দু'জনকে আলাদা আলাদা জায়গায় থাকতে হবে। তাই যৌথভাবে যে সংসার পাতার স্বপ্ন তাঁরা দেখছিলেন, সেটা সম্ভব নয়। আসলে ইঞ্জিনিয়ার পাত্র জাহাজের সংস্থায় কাজ করতেন। তাঁকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হয়। দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে থাকতেন। সেটা জানার পরই চিকিৎসক পাত্রী বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। পাত্রও তাতে রাজি হন।
দু'জনে মিউচুয়াল ডিভোর্সের আবেদন করেন। চমকপ্রদভাবে আদালতও আবেদনের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়ে দেয়। সবটাই হয়ে যায় চমকপ্রদ দ্রুততার সঙ্গে। ওই যুগলের আইনজীবী রানি সোনওয়ানে বলছিলেন, "এমনিতে ভারতে বিচ্ছেদ মামলাগুলির নিষ্পত্তি হতে কিছুটা সময় লাগে। কিন্তু এক্ষেত্রে পারস্পারিক ইচ্ছাকে সম্মান দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে আদালত।"
একই সঙ্গে ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, বিয়ের মতো এত বড় সিদ্ধান্তের আগে ওই যুগলের আরও ভাবনা চিন্তা করা উচিত ছিল। মতের মিল, সংসার সংক্রান্ত বিষয়গুলি আগে থেকে আলোচনা করে নিলে বিয়ের পর এতটা ঝঞ্ঝাট পোয়াতে হত না। এই খবর নিয়ে সোশাল মিডিয়াতেও বিস্তর কথাবার্তা হচ্ছে। অনেকেই যুগলের সিদ্ধান্তে স্তম্ভিত। কারও উক্তি, কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়।
