সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড কালে বাচ্চা সারমেয়টিকে স্টেশনে ফেলে যান কেউ বা কারা। সেই থেকেই আরপিএফ, যাত্রীদের সঙ্গে বেড়ে উঠছে সে। প্রতিদিন নিয়ম করে সুরক্ষাবাহিনীর সঙ্গে টহল দিতে বেরয় সে। আশ্চর্যজনক ভাবে অপরাধী শনাক্তের অদ্ভূত ক্ষমতা রয়েছে তার। সম্প্রতি ধরিয়ে দিয়েছে এক চোরকে। তবে এই প্রথম নয়, আগেও এই কাজ করেছে। এখন অলিখিত ভাবে পুলিশদলের সদস্য সে।
ঘটনাটি চেন্নাই রেলওয়ে স্টেশনের। কথা হচ্ছে টাইগারের। না বাঘ নয়, পথ কুকুর।আরপিএফের কর্মীরা আদরের সারমেয়ওর নাম দিয়েছেন 'টাইগার'। কেন এই নাম? কেনই বা তাঁরা বলছেন 'টাইগার' তাঁদের দলের সদস্য?
কিছুদিন আগে স্টেশন থেকে এক চোর ঘুমন্ত এক যাত্রীর মোবাইল চুরি করে পালাচ্ছিল। আরপিএফের এক কর্মী তাকে ধরেও ফেলেন। কিন্তু হাত ফস্কে পালিয়ে যাচ্ছিল সে। সেই সময় ছুটে আসে স্টেশনেই থাকা 'টাইগার'। কামড়ে ধরে চোরের প্যান্ট। তাতেই পাকড়াও করা হয় চোরটিকে। শুধু তাই নয় যে সমস্ত যাত্রী ট্রেনের বাইরে ঝুলতে থাকেন, চিৎকার তাঁদের করে ভিতরে ঢুকিয়ে দেয় সে। গোটা স্টেশনের অতন্দ্র প্রহরী সে।
চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনের আরপিএফের ইন্সপেরক্টর মধূসুদন রেড্ডি বলেন, "ওর আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে। পুলিশকে সাহায্য করে। আমাদের সঙ্গে প্রতি রাতে টহল দিতে যায়। কখনও একা একাই পুরো স্টেশনের চক্কর দিয়ে আসে। কোনও সহেন্দজনক কিছু দেখলে তা শনাক্ত করতে সাহায্য করে। তিনি আরও বলেন, "ওকে কোনও প্রশিক্ষণ আমার দিইনি। নিজে থেকেই কিছু আদব কায়দা শিখে নিয়েছে। টাইগার এখন আমাদের দলের অলিখিত সদস্য।"
