সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের মরশুম মানেই নেমন্তন্ন পাওয়ার চান্স। বন্ধু হোক বা তুতো ভাইবোন কিংবা প্রতিবেশী... বিয়েবাড়ি যাওয়ার সুযোগ মানেই একদিকে চুটিয়ে পেটপুজো, অন্যদিকে রঙিন পোশাকে সেলফি তোলার সুযোগ। প্রতিটা বিয়েবাড়ি মানেই নতুন গল্প। আবার কিছু চিরচেনা ছবি বা সংলাপের পুনরাবৃত্তিও। সম্প্রতি এক বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রে সেই চেনা ছবিকেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে দ্রুত।
কী রয়েছে সেই নেমন্তন্নের চিঠিতে? তিন ভাগে বিভক্ত কার্ডটির ছত্রে ছত্রে রকমারি মজা। পড়তে পড়তে হাসি খেলে যাবেই ঠোঁটের ডগায়। নেটিজেনরা অত্যন্ত মজা পেয়েছেন এমন অভিনব নিমন্ত্রণপত্র পেয়ে। প্রসঙ্গত, যে কোনও উৎসবেরই সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নেমন্তন্নের চিঠি। কিন্তু সেই চিঠিতে প্রথাগত কিছু না করে নতুনত্বের সন্ধান করেন অনেকেই। এই চিঠিও তেমনই। ঠিক নেমন্তন্নে খেতে আসা অতিথিদের ভাষাতেই লেখা হয়েছে সেই চিঠি। যেমন পাত্রীর নাম 'শর্মাজি কি লড়কি' এবং পাত্রের নাম 'গোপালজি কা লড়কা'। পাত্রীর নামের নিচে লেখা 'পড়হাই মে তেজ' ও পাত্রের নামের নিচে লেখা রয়েছে 'বি টেক করে দোকান সামলায়'। ঠিক যেন অন্য কেউ বা কারা আলোচনা করছে তাঁদের নিয়ে। এমনই অভিনব বিশেষণ সর্বত্র।
যেমন রিসেপশনের ক্ষেত্রে লেখা সাতটা থেকে অনুষ্ঠান শুরু। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও উল্লেখ করে দেওয়া যে নিমন্ত্রণকারী পরিবারের সদস্যরা সাড়ে আটটা নাগাদই আসবেন। সবচেয়ে অভিনব উপহারের প্রসঙ্গ। পরিষ্কার লেখা রয়েছে 'কোনও উপহার নয়'... এপর্যন্ত পড়ে যে কারও মনে হবে উপহার নেওয়া হবে না। কিন্তু একটি মোক্ষম কমার পরই লেখা আসল কথা- 'কেবলই গুগল পে ও নগদ। আমরা ইতিমধ্যেই ৭টি ডিনার সেট ও ২০টি ফটো ফ্রেম পেয়েছি।' লেখা রয়েছে, 'খাবার খেয়ে যাবেন কিন্তু স্রেফ একবারই। কেননা দুহাজার টাকা প্লেট।'
বিয়ের মরশুমে এমন অভিনব কার্ড দ্রুত ভাইরাল হয়েছে। ভিউ হয়ে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ। অনেকেরই দাবি এই কার্ডটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য তা 'সৎ'। মানছেন আনুষ্ঠানিকতার আড়ষ্টতা ভেঙে এমন অভিনবত্বের মধ্যে রয়েছে তরতাজা মজার ঝলক। তাই অনেকেই লিখেছেন, তাঁরাও তাঁদের বিয়েতে এমনই অদ্ভুত কার্ড করবেন। আবার বিতর্কও ঘনিয়েছে, অতিথিদের আপ্যায়ন করার সময় এই ভাষা প্রয়োগ করা যায় কিনা তা নিয়ে।