সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, 'রাখে হরি, মারে কে।' আদ্যিকালের এই প্রবাদবাক্য যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায় উত্তরপ্রদেশের বছর চব্বিশের এক যুবকের সঙ্গে। একবার নয়, গত এক মাসের মধ্যে ৫ বার বিষাক্ত সাপের ছোবল খেয়েও যমরাজকে 'কাঁচকলা' দেখালেন তিনি। দফায় দফায় মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়েও আতঙ্ক কাটছে না ফতেহপুর জেলার সৌরা গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ দুবের। এই ঘটনায় আতঙ্কিত তাঁর পরিবারও।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২ জুন। রাত ৯টা নাগাদ বিছানা থেকে নিচে নামার সময় প্রথমবার সাপে ছোবল দেয় বিকাশকে। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে। ২ দিন সেখানে ভর্তি থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। বিষয়টি সামান্য ঘটনা ভেবে স্বস্তি পায় পরিবার। তবে সমস্যার এটা শুরু মাত্র। ১০ জুন রাতে ফের সাপে কামড়ায় তাঁকে। ফের হাসপাতাল ও চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে যান যুবক। এর পর মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে ১৭ জুন ঘরের মধ্যেই সাপের কামড় খান বিকাশ। আবারও সুস্থ হয়ে বাড়ির ফেরার পর ৭ দিনের মধ্যে চতুর্থবার সাপের ছোবল খান তিনি। ফের তাঁকে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরাও আশ্চর্য হয়ে যান। চিকিৎসায় তাঁর প্রাণ বাঁচলেও আতঙ্ক ঘিরে ধরে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ‘হিংস্র তারাই, যারা…’, রাহুলের ‘হিন্দু’ মন্তব্যে ময়দানে পয়গম্বর বিতর্কে ‘বরখাস্ত’ নূপুর]
এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা বিকাশের পরিবারকে পরামর্শ দেয় তাঁকে যেন বাড়ি থেকে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। ডাক্তারদের পরামর্শমতো তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাধানগরে মাসির বাড়িতে। তবে সেখানে গিয়েও মেলেনি রেহাই। মাসির বাড়িতে থাকাকালীন শুক্রবার রাত ১২টা ফের সাপের ছোবল খান বিকাশ। এর পর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসাপাতালে ভর্তি করে পরিজনরা। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই যুবক। সাপের কামড়ে প্রাণে বাঁচলেও আতঙ্কের মধ্যে ডুবে রয়েছেন তিনি।
এদিকে বার বার একই ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন বিকাশের পরিবার। বিষয়টিকে নিছক কাকতালীয় হিসেবে মানতে পারছেন না তারা। মাথাচাড়া দিচ্ছে কুসংস্কারের অন্ধকার। পরিবারের আশঙ্কা, বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর ফের একই ঘটনা ঘটবে বিকাশের সঙ্গে। আতঙ্কিত বিকাশ নিজেও।