সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোথাও আগুন ধরে গেলে পড়িমড়ি সেখানে হাজির হন ওঁরা। উদ্ধার করেন বিপন্ন মানুষকে। তাছাড়া বিধ্বংসী আগুন নেভানোর দায়িত্ব তো থাকেই। তাই বলে কোনও মহিলা পাবলিক টয়লেটে (Public Toilet) আটকে পড়বেন, আর তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে ওঁদের কালঘাম ছুটে যাবে, এমনটা ভাবেননি ওঁরা! মার্কিন দেশের ফায়ারফাইটার, মানে দমকল কর্মীদের কথা হচ্ছে। সম্প্রতি এমন আজব অভিজ্ঞতাই হয়েছে তাঁদের।
পাবলিক টয়লেট বলা হলেও ঘটনা কিন্তু শহরের মধ্যে ঘটেনি। মহিলা কাণ্ড ঘটান পাহাড়ের মাথায়, এক গভীর জঙ্গলে। গত ১৯ এপ্রিলে ওয়াশিংটনের (Washington) মাউন্ট ওয়াকার পাহাড়ে যান তিনি। সঙ্গে কেউ ছিল না। এরপর প্রকৃতির ডাকে জঙ্গলের ভিতরের একটি পাবলিক টয়লেটে ঢোকেন। আজকের পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের কুঅভ্যাস- টয়লেটেও সঙ্গে মোবাইল ফোন রাখা এবং তাতে খুটখাট চালিয়ে যাওয়া, এই মহিলারও সেই অভ্যাস রয়েছে। এবং আচমকা মোবাইলটি তাঁর হাত থেকে খসে পড়ে, ঢুকে যায় প্যানের ভিতরে। এবার তা উদ্ধার করতে গিয়েই হয় বিপত্তি।
[আরও পড়ুন: এবার দিল্লিতে বেআইনি মন্দির ভাঙার নোটিস কেন্দ্রের, ক্ষোভে ফুঁসে উঠল AAP]
উল্লেখ্য, মার্কিন দেশের পাহাড়-জঙ্গলের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকে বিশেষ ধরনের অ্যাসেম্বলড পাবলিক টয়লেট। তা এমন ভাবে তৈরি, যাতে করে প্রাকৃতিক উপায়ে বর্জ্য নিষ্কাশন সম্ভব হয়। তার জন্য গভীর গর্ত করা হয় প্যানের নীচে। প্যানটিও হয় অ্যাসেম্বলড। প্রয়োজনে সেটিকে খোলা যায়। মোবাইল ফোন ফিরে পেতে ওই ম্যানুয়ালি অ্যাসেম্বলড প্যানটিকে খুলে ফেলেন মহিলা। এরপরই ভয়ংকর কাণ্ড করে বসেন, ঘেন্নার কাণ্ডও বটে! তিনি নেমে পড়েন বর্জ্য যেখানে পড়ে সেই ট্যাংকে।
[আরও পড়ুন: ‘ভূস্বর্গের তরুণদের আর কষ্ট পেতে দেব না’, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর প্রথম কাশ্মীর সফরে দাবি মোদির]
এর ফলে হারানো ধন খুঁজে পান বটে, কিন্তু কিছুতেই আর উপরে উঠে আসতে পারছিলেন না। এই সময় অবশ্য কাজে আসে মোবাইল ফোনটি। ২০ মিনিট আটকে থাকার পর দমকলে ফোন করেন মহিলা। দ্রুত ব্যবস্থা নেয় দমকল কর্মীরা। তবে পাহাড়ের উপরের গভীর জঙ্গলে পৌঁছতে খানিক সময় লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমেই ওই মহিলার জন্য একটি বিশেষ ধরনের মুখোশ লাগানো জ্যাকেটের ব্যবস্থা করেন দমকল কর্মীরা। যাতে করে বর্জ্যের গ্যাসে মহিলা অসুস্থ হয়ে না পড়েন। এরপর অনেক কায়দায় তাঁকে উপরে তুলে আনা হয়। দ্রুত তাঁর পোশাক ও শরীরে লেগে থাকা বর্জ্য পরিস্কার করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। দমকল কর্মীরা বলছেন, আরেকটু দেরি হলেই সাধের মোবাইল বাঁচাতে গিয়ে চরম কিছু ঘটে যেতে পারত।
এক দমকলকর্মী বলেন, “মহিলার ভাগ্য ভাল। এই জায়গায় আটকে পড়ায় ভয়ংকর কিছু ঘটে যেতে পারত। তাছাড়া এমন উদ্ধারের অভিজ্ঞতা ছিল না আমাদের।”