সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২২ সালের পর ফের সেই একই ঘটনা। ফেসবুকে ‘মৃত’ দেখাচ্ছে বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে। সোমবার বিকেল থেকে লেখিকার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে ‘রিমেম্বারিং’ শব্দবন্ধটি। কেউ মারা গেলে সাধারণত মেটা এই রিমেম্বারিং লেখাটি প্রোফাইলে দেখায়। নিয়ম হল, কেউ প্রয়াত হলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে সেই নিয়ে আবেদন জানাতে হয়। সেই তথ্য যাচাই করে তবেই সেই ব্যক্তির প্রোফাইলে ‘রিমেম্বারিং মোড’টি অন হয়। তসলিমার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। তবে লেখিকা একেবারে সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন। তা সত্ত্বেও কীভাবে ঘটল এই ভুল, জল্পনা ঘনাচ্ছে সেই নিয়েই।
কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে লেখিকা জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশের মাদ্রাসায় পড়া ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা বা জিহাদিরা ফেসবুকের চেয়েও বেশি চতুর। তারা নানাভাবে ফেসবুকের সিস্টেমকে ব্যবহার করে মানুষকে এক্সপ্লয়েট করে। আমার বক্তব্যকে খণ্ডন করার তাদের যুক্তিবুদ্ধি নেই বলে গণ-রিপোর্ট করে ফেসবুককে দিয়ে আমার পোস্ট ডিলিট করায়। চতুর লোকগুলো ফেক ডেথ সার্টিফিকেট বানিয়ে ফেসবুকের কাছে পাঠিয়ে বলে দেয়, ও মরে গেছে। ফেসবুকের রোবট আমাকে কবর দিয়ে দেয়, আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। অথচ আমি মরিনি। আমাকে নানা ভাবে প্রমাণ করতে হয় আমি মরিনি।’’
তসলিমার আরও সংযোজন, ‘‘এত বার করে ফেসবুককে বলছি, আমি এখনও মরিনি। ফেসবুকের কানে যাচ্ছে না আমার কথা। একটা ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টকেও এরা নির্যাতনের শিকার করতে পারে। ফেসবুকের জানা উচিত, কীভাবে খারাপ লোকেরা ফেসবুকের সিস্টেম ব্যবহার করে ভাল লোকদের এক্সপ্লয়েট করছে। ফেসবুকের কাছে অনেকবার আবেদন জানিয়েছি, এখনও ফিরিয়ে দিচ্ছে না আমার অ্যাকাউন্ট।’
৪৮ ঘণ্টা পার হলেও এখনও ফেসবুক কর্তৃপক্ষে তসলিমা নাসরিনের অ্যাকাউন্টটি ফিরিয়ে দেয়নি। এই নিয়ে এক্স হ্যান্ডলেও সরব হয়েছেন লেখিকা। তিনি একটি পোস্টে জানিয়েছেন, ‘‘মেটা, ফেসবুক আপনারা আমার ফেসবুক প্রোফাইলকে স্মৃতি বানিয়ে দিয়েছেন, যেখানে আমি ভীষণভাবে জীবিত রয়েছি। দয়া করে এটা সরিয়ে ঠিক করুন।’’ এর সঙ্গে তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের একটি স্ক্রিনশটও পোস্ট করেছেন।