সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোন সালে ‘গ্লোবাল টেনশন’ সব চেয়ে বেড়ে গিয়েছিল? উত্তর: ১৯৪১। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষ, ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ হচ্ছে কত সালে? উত্তর: ২০২৫।
৮৪ বছরের ব্যবধানের এই দু’টি সালের মিল কি শুধুই যুদ্ধ? না। চমকে ওঠার মতো বিষয় হল, যুদ্ধের মিল, অশান্ত পৃথিবীর মতোই ১৯৪১ ও ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডারও হুবহু এক! কী কাকতালীয় না? ১৯৪১ সালেও বছরের প্রথম দিনটি শুরু হয়েছিল বুধবার। সেই বছরটিও লিপ ইয়ার ছিল না। এই বছরও তাই। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার হল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সৌর পঞ্জিকা। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রতি বছর একই তারিখে একই দিনে ফিরে আসে না। তবে কিছু নির্দিষ্ট বছর পর এটি একই দিনে ফিরে আসে। তার কারণ, পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ৩৬৫ দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগে।
এই অতিরিক্ত সময় প্রতি বছর হিসাব করে, একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে, লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ যোগ করে সমন্বয় করা হয়। এই কারণে কিছু বছর পর ক্যালেন্ডার একই দিনে ফিরে আসে। সম্ভবত এই কারণেই ৮৪ বছর আগের ক্যালেন্ডার ও চলতি বছরের ক্যালেন্ডার এক। সম্প্রতি বিষয়টি নেটিজেনদের একাংশের নজরে আসতেই সোশাল মিডিয়া জুড়ে হইচই শুরু হয়েছে। অনেকেরই আশঙ্কা, ১৯৪১ সালের মতো ২০২৫-ও কি অভিশপ্ত হয়ে উঠবে? ইরানের উপর ইজরায়েলের হামলা শুরু হতেই মানুষের মনে উৎকণ্ঠা আরও তীব্র হয়েছে।
১৯৩৯ সাল থেকে একাধিক দেশের মধে্য সংঘাত চলছিলই। কিন্তু ১৯৪১-এ জার্মানি সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর হামলা শুরু করার পরেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। তার পরেই জাপান হাওয়াইয়ের পার্ল হারবারে আঘাত হানার পর পাল্টা জবাব দিতে যুদ্ধে যোগ দেয় আমেরিকা। জাপান ও জার্মানির বিরুদ্ধে মার্কিন সেনা নামতেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরও ভয়াবহ চেহারা নিয়েছিল। সেই পরিস্থিতির দিকেই কি এগিয়ে যাচ্ছে ২০২৫-এর পৃথিবী?
পরমাণু অস্ত্র নিয়ে বিতর্ক থেকে যুদ্ধ শুরু হয়েছে ইরান-ইজরায়েলের। আকাশযুদ্ধে একে একে শামিল হচ্ছে তাদের মিত্র দেশগুলিও। ইজরায়েলের পাশে দঁাড়িয়ে যে কোনও সময় ইরানের পরমাণু ঘঁাটি গুঁড়িয়ে দিতে পারে আমেরিকা। এদিকে ইরান পাশে পাচ্ছে চিন, রাশিয়া, লেবানন-সহ একাধিক দেশকেও। তা হলে কি সতি্য এবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে? নেটিজেনদের প্রশ্ন, ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে না তো?’ ১৯৬৯ সালের ক্যালেন্ডারও চলতি বছরের ক্যালেন্ডারের মতোই এক। ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখা যাবে, সেই বছর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বিধ্বস্ত হয়েছিল গুজরাত। ২০০২ সালের মতোই আগুন জ্বলেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজে্য। নিহত হয়েছিল ৫১৪ জনেরও বেশি মানুষ।