সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন কুস্তিগির বজরং পুনিয়া। জাতীয় ডোপিং বিরোধী সংস্থা অর্থাৎ NADA-র নির্দেশের অমান্য করায় এই শাস্তি পেতে হল টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী তারকাকে। এই বছরের এপ্রিল মাস থেকে তাঁর নির্বাসন কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে তাঁকে আন্তর্জাতিক কুস্তি সংস্থাও সাসপেন্ড করেছিল।
ঘটনার সূত্রপাত মার্চ মাস থেকে। সোনিপতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ট্রায়াল প্রস্রাবের নমুনা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। তখনই তাঁকে সাময়িকভাবে নির্বাসিত করা হয়েছিল। তার পর ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (WADA) কারণ জানতে চায়। তাতেও সুরাহা না মেলায় ২৩ এপ্রিল নোটিশ জারি করা হয়। সব মিলিয়ে অলিম্পিকের ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। নামতে পারেননি অলিম্পিকেও।
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন বজরং। কুস্তিগিরের অভিযোগ ছিল, তাঁকে পরীক্ষার জন্য যে কিট দেওয়া হয়েছিল, তা মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল। কেন তাঁকে এরকম কিট হয়েছিল, তার উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত তিনি পরীক্ষা দিতে রাজি হননি। সেই নিয়ে তাঁকে জুন মাসে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। পালটা আবেদন করেন বজরংও। মাঝে কিছুদিনের জন্য তাঁর নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়েছিল।
এর পর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ফের শুনানি হয়। যার সিদ্ধান্তে তাঁকে দোষী ঘোষণা করে শাস্তি দেয় NADA। এর ফলে আগামী চার বছর বজরং কোনও প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে নামতে পারবেন না। এমনকী কোচিংও করাতে পারবেন না। অবশ্য বিতর্ক অন্য জায়গাতেও। ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। ভিনেশ ফোগাটের অলিম্পিক বিতর্কেও বার বার সোচ্চার হয়েছিলেন। পরে কংগ্রেসেও যোগ দেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে চার বছরের দীর্ঘ নির্বাসন দেওয়ায় রাজনৈতিক যোগসাজশও খুঁজে পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।