অর্ণব আইচ: অভিভাবক সেজে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বাবুবাগানের রুটিওয়ালা বা ঢাকুরিয়ার রিকশাচালকও। বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুলের সামনে পুলিশের উপর হামলার ঘটনার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। রাহুল হালদার ওরফে গোপাল ও বিজয় চৌধুরি নামে দু’জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের কেউই অভিভাবক নন। এদিকে, স্কুলে ৬ বছরের শিশু ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের ঘটনায় ধৃত শিক্ষক দীপক কর্মকারের বক্তব্যে পুলিশ বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছে।
[ জেলে আফতাবের জন্য এলাহি আয়োজন, মেনুতে থাকবে মাছ ও পাঁঠার মাংস ]
পুলিশ জানিয়েছে, একাধিক ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করে বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে কেউ পুলিশের দিকে ইট ছোড়ে। আবার কেউবা পুলিশের লাঠি ধরে টানাটানি করে। পুলিশকে ধাক্কাও দেয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, তাদের মধ্যে একটি বড় অংশই বহিরাগত। তাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই অভিভাবকদের। বুধবার রাতে রাহুল হালদার ও বিজয় চৌধুরিকে আটক করা হয়। বিজয়ের আসল বাড়ি বিহারে। বাবুবাগানে সে রুটি বিক্রি করে। রাহুল বাবুবাগানেই থাকে। ছোটখাটো কাজকর্ম করে সে। জেরার মুখে তারা জানিয়েছে, স্কুলে গোলমাল হচ্ছে শুনে তারা ঘটনাস্থলে এসে নিজেরাই ঝামেলা শুরু করে। যদিও পুলিশের ধারণা, তাদের গোলমালের পিছনে কেউ ইন্ধন জুগিয়েছিল। সেই বহিরাগত কারা, তার সন্ধান চলছে। আরও একজন সংঘর্ষের সময় পুলিশের লাঠি ধরে পুলিশকে আক্রমণ করেছিল। সে একাধিকবার পুলিশের দিকে ইট ছোড়ে। সে এলাকায় রিকশা চালায়। তার আসল বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। এলাকার বাসিন্দারা তাকে ‘কালো ইঞ্জিন’ বলে ডাকে। অথচ ধৃত দু’জন বা এই ব্যক্তির কেউই স্কুলে পড়ে না। তারা পুলিশের উপর হামলা চালাল কেন, তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। ওই ব্যক্তি-সহ আরও কয়েকজনকে পুলিশ খুঁজছে।
জানা গিয়েছে, জেরার সময় অভিযুক্ত শিক্ষক বারবার বক্তব্য পাল্টাচ্ছেন। ছাত্রীটিকে তিনি পড়ানোর নাম করেই দশ নম্বর ঘরে নিয়ে যান বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশের মতে, স্কুলে ছুটি পড়ার পর ঘটনার পুনর্গঠন হলে এই বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। প্রয়োজনে পরে অভিযুক্ত ও শিশুটি আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[ ২০ দিনেই মাঝেরহাটে তৈরি বিকল্প রাস্তা, আজ খুলছে বেইলি সেতু ]
The post ‘অভিভাবক সেজে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল বাবুবাগানের রুটিওয়ালা’ appeared first on Sangbad Pratidin.