সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষা না স্বাস্থ্য। দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের দাপটের মধ্যে এটিই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিভাবকদের কাছে। এই দোলাচলের মধ্যে আপাতত স্বাস্থ্য সুরক্ষাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার আগে স্কুল খুলুক, চাইছেন না বহু অভিভাবক। এই মর্মে কেন্দ্রের কাছে একটা পিটিশনও জমা পড়েছে। যাতে বলা হয়েছে, যতদিন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসছে, বা করোনার টিকা আবিষ্কার না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত যেন স্কুল খোলা না হয়। এই অনলাইন পিটিশনটিতে সই করেছেন প্রায় ২ লক্ষ ১৩ হাজার অভিভাবক। তাঁরা চাইছেন, চলতি শিক্ষাবর্ষটি শেষ করা হোক অনলাইনেই।
গত ১৬ মার্চ থেকে দেশজুড়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ। ঠিক কবে থেকে খোলা হবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও ঘোষণা এখনও করা হয়নি। তবে আনলক ওয়ানের (Unlock 1) বিজ্ঞপ্তি জারির সময় কেন্দ্র জানায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্কুল-কলেজ খোলার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, জুনে না হলেও, জুলাইয়েই দেশের অধিকাংশ এলাকায় স্কুল কলেজ খুলে দেবে কেন্দ্র। বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে আপাতত ৩০ জুন পর্যন্ত স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরই ফের চালু করা হতে পারে পঠনপাঠন। সেই সম্ভাবনা তৈরি হতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকেরা।
[আরও পড়ুন: আনলকের দ্বিতীয় দিনেও ঊর্ধ্বমুখী দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ, আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ]
অনলাইন পিটিশনে তাঁদের বক্তব্য, “জুলাই মাসে স্কুল খোলাটা সরকারের সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত হবে। এটা অনেকটা আগুন নিয়ে খেলার মতো। বর্তমান শিক্ষাবর্ষটি ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমেই চালু রাখা উচিৎ।” কেন্দ্রকে জমা দেওয়া ওই আরজিপত্রে প্রশ্ন তোলা হয়েছে,”স্কুলগুলিই দাবি করছে, ভারচুয়াল শিক্ষায় তাদের কোনও সমস্যা নেই। তাহলে চলতি শিক্ষাবর্ষটি অনলাইনেই কেন শেষ করা হবে না?” উল্লেখ্য, লকডাউনের জের প্রায় আড়াই মাস ঘরবন্দি পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের স্বার্থে অনলাইন পড়াশোনা চলছে ঠিকই, তবে সেখানে স্কুলের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না। তাছাড়া, দেশের অধিকাংশ পড়ুয়ার হাতেই অনলাইনে লেখাপড়ার মতো পরিকয়াঠামো নেই। সেসব ভেবেই দ্রুত স্কুল-কলেজ খুলতে চাইছে কেন্দ্র। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় শুরুতেই বাদ সাধছেন অভিভাবকরা।
The post ‘শিক্ষার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য’, কেন্দ্রের কাছে স্কুল না খোলার আরজি ২ লক্ষ অভিভাবকের appeared first on Sangbad Pratidin.