রাজা দাস, বালুরঘাট: পরীক্ষামূলকভাবে ৬৪ রকমের ধান চাষ শুরু করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষি দপ্তর। পাশাপাশি ভিন জেলা ও অন্য রাজ্যের ধানকেও রাখা হয়েছে এই চাষের তালিকায়। তপন, বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর-সহ জেলার প্রতিটি ব্লকের কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ফলন বৃদ্ধি ও অধিক লাভের আশায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এই উদ্যোগ৷ উৎপাদিত ধানের ফলন দেখে আশাবাদী কৃষি দপ্তর।
[কালো নুনিয়ার সঙ্গে তুলাইপাঞ্জি চাল চাষের উদ্যোগ কোচবিহারে]
দক্ষিণ দিনাজপুর মূলত কৃষিপ্রধান। গড়ে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। একসময় চাষ হত এমন প্রজাতি তো বটেই, বাইরে চাষ হওয়া বিভিন্ন প্রজাতির ধান এই জেলায় উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে কৃষি দপ্তর। বালুরঘাটের মাঝিয়ান কৃষি ফার্ম, গঙ্গারামপুর, তপন কৃষি খামারে এই ধান পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে। তবে তপন হরসুরা এলাকার বর্ষা ফার্মাস ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করে এলাকার বিরাট জমিতে চলছে ৬৪ রকমের ধান চাষ। সেখানে উৎপাদিত ফসলের গুণগতমান ও ফলন হয়েছে ব্যাপক হারে। কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, আরও এক বছর এই চাষ করা হবে৷ পরবর্তীকালে জেলার সব জায়গার কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে বলেও পরিকল্পনা কৃষি দপ্তরের।
[বর্ষায় দক্ষিণ দিনাজপুরে জোরকদমে চলছে আমন ধানের চারা রোপণ]
জেলা কৃষি অধিকর্তা জ্যোতিন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রদশর্নীক্ষেত্র হিসেবে তপন হরসুরাতে বেশি পরিমাণে ধান চাষ করা হচ্ছে। হারিয়ে যাওয়া ও বাইরে চাষ হওয়া ধানগুলিকে এখানে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে। প্রথমে কৃষকরা তেমন আশাবাদী ছিলেন না। তবে ব্যাপক ফলনে উৎসাহ বেড়েছে কৃষকদের৷’’ তিনি আরও জানান, সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে এই চাষ করা হচ্ছে৷ এলাকায় লাল চাল বা ব্রাউন রাইস নামে যে চাল পাওয়া যায়, তার অন্তত ছয়টি জাত চাষ করা হয়েছে। নদিয়ার ফুলিয়া কৃষি প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে বিভিন্ন প্রজাতির বীজ নিয়ে আসা হয়েছিল। বাইরের বিশেষ ধানগুলির মধ্যে রয়েছে কেরালা সুন্দরি এবং বাসমতিও। মোট ৬৪ রকমের ধানকে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে৷ সাফল্য মিললে হবে সরিষা ও মুশুর চাষ৷ যাতে বাজারে ছেয়ে যাওয়া ‘স্বর্ণ’ বা ‘চল্লিশ চুরানব্বই’-এর মতো ধানের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে।
The post ৬৪ প্রজাতির ধান চাষ, নয়া ভাবনায় সাফল্য কৃষকদের appeared first on Sangbad Pratidin.