সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসেছেন শাহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif)। কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ভারতের (India) প্রতি বার্তা দিয়েছেন নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী । এরপরে মুখ খুললেন পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী মিয়াঁ মহম্মদ মানশা। তিনি জানালেন, ভারত-পাক বাণিজ্যিক সম্পর্ক ফের শুরু করার সময় এসেছে। ভারতে পাক শিল্পীদের কাজ করা এবং আইপিএলে পাক ক্রিকেটারদের খেলা প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন তিনি।
পাকিস্তানের সেরা বিজনেস গ্রুপ নিশাত কনগ্লোমারেটের প্রধান মানশা। প্রসঙ্গত, তাঁকে পাকিস্তানের ব্যবসায়িক জগতে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসাবে মনে করা হয়। তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঠিক করে নেওয়া খুবই জরুরি। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন সব ক্ষেত্রেই নতুন করে শুরু হওয়া দরকার।” কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে তাঁর মত, ধীর পদক্ষেপ নিতে হবে এই প্রসঙ্গে। তবেই সীমান্তে উত্তেজনা কমবে।
[আরও পড়ুন: ‘রামচন্দ্র ভগবান নন’, বিজেপির জোটসঙ্গীর মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড়, সতর্ক করল গেরুয়া শিবির]
মানশার মতে, ভারত এবং চিনের মধ্যেও সীমান্ত নিয়ে টানাপোড়েন রয়েছে। তা সত্ত্বেও চিন থেকে অনেক পণ্য আমদানি করে ভারত। তাহলে ভারত-পাকিস্তানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক থেমে থাকবে কেন? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “প্রতিবেশীর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকলে আর কিছুই প্রয়োজন হয় না। আমরা প্রতিবেশী পালটাতে পারি না।” ভারত থেকে পণ্য আমদানি করলে আখেরে পাকিস্তানের লাভ, সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন মানশা।
চিনের থেকে প্রচুর পণ্য আমদানি করে পাকিস্তান। কিন্তু তাতে আমদানির খরচ অনেক বেশি। সেই প্রসঙ্গে মানশা বলেছেন, “আমি একজন ব্যবসায়ী। যদি ভারত থেকে কম খরচে আমদানি করা যায়, তাহলে কেন বেশি ব্যয় করে অন্য দেশ থেকে পণ্য আমদানি করব কেন? প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পরেই ভারত-পাক বাণিজ্যিক সম্পর্কের (Cross LoC Trade) অবনতি ঘটে। পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রীও ভারত-পাক বাণিজ্যের পক্ষে, এমনটাই ধারণা মানশার। কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন তিনি।
ভারত-পাক সাংস্কৃতিক এবং ক্রিকেট সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেছেন, “ভারতের সিনেমা পাকিস্তানের মানুষ দেখেন, পাকিস্তানের নাটক দেখেন ভারতীয়রা। আগে বেশ কিছু পাক শিল্পী ভারতের বিভিন্ন সিনেমায় কাজ করেছেন। তবে সবচেয়ে বড় ঘটনা যা হতে পারে, পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলার অনুমতি দেওয়া। একইভাবে ভারতের ক্রিকেটাররাও পাকিস্তানে এসে পাকিস্তান সুপার লিগ খেলুন। ক্রিকেটের মতো বড় ব্যবসা এখন খুব কমই রয়েছে।” কোভিডের কারণে ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। এহেন পরিস্থিতিতে সীমান্তে বাণিজ্য চালু হলে উপকৃত হবে দুই দেশই। সীমান্তে বাণিজ্যিক কার্যকলাপ চালু হলে শান্তি ফিরে আশবে কাশ্মীরে, মত বিশেষজ্ঞদের।