সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে তলানিতে ঠেকেছে আমেরিকা ও পাকিস্তানের (Pakistan) সম্পর্ক। এবার ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি সাফ জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে অভিযান চালাতে মার্কিন ফৌজকে পাক সেনাঘাঁটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
[আরও পড়ুন: নৌকায় চেপে কিউবা পালিয়েছেন মেহুল চোকসি! কী বলছে অ্যান্টিগা সরকার]
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মঙ্গলবার পাক সেনেটে বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী মেহমুদ। বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে তিনি সাফ জানান, ভবিষ্যতে আফগানিস্তানে অভিযান চালাতে মার্কিন ফৌজকে পাক সেনাঘাঁটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি, পাকিস্তানের মাটিতে মার্কিন ফৌজকে ড্রোন হামলা চালাতে দেবে না প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার বলেও দাবি করেন তিনি। মেহমুদ বলেন, “আমি সকলকে আশ্বস্ত করছি যে পাকিস্তান সুরক্ষিত হাতে রয়েছে। আমরা যেটা ভয় করছি তা হল বর্তমান পরিস্থিতিতে (মার্কিন সেনা চলে গেলে) আফগানিস্তানে যে শূন্যতা তৈরি হবে তা ফের দেশটিকে নয়ের দশকের অরাজকতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। তবে আমেরিকা সরে গেলেও পড়শি দেশে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নিজের কাজ করবে পাকিস্তান।”
এদিকে, ওয়াশিংটন থেকে কূটনৈতিক সূত্রে খবর যে বরাবরই মার্কিন সেনাকে নিজেদের ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিয়েছে পাকিস্তান। শুধু তাই নয় মার্কিন বিমানগুলির জন্যও আকাশসীমা খোলা রেখেছে দেশটি। ফলে বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে সংসদে তর্জন গর্জন করলেও আমেরিকাকে সেনাঘাঁটি ব্যবহার করতে দিতে বাধ্য পাকিস্তান। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মার্কিন সেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল লরেন্স সেলিন দাবি করেছিলেন যে আফগানিস্তান ইস্যুতে আমেরিকার পিঠে পিছন থেকে আঘাত করেছে পাকিস্তান৷ দু’মুখো নীতিতে আমেরিকার বিশ্বাসভঙ্গ করেছে তারা। মুখে লড়াইয়ের কথা বললেও, গোপনে তালিবানদের সঙ্গে হাত মেলায় তৎকালীন পাক প্রশাসন৷ তিনি জানান, ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালিবানদের উপরে মার্কিন সেনা ব্যাপক গোলাবর্ষণ করতে শুরু করে৷ তখন আড়াল থেকে জঙ্গি গোষ্ঠীকে অস্ত্র সাহায্য দেয় পাকিস্তান৷ তালিবান, আল-কায়দাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশারফ৷