সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার মোট পাঁচটি দেশ অস্থায়ী সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। এই নিয়ে অষ্টমবার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হল পাকিস্তান। আগামী দিনে বিশ্বশান্তি এবং নিরাপত্তা বজায় রাখবেন বলে বার্তা দিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার।
বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসাবে পাঁচটি দেশকে বেছে নিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো। মোট ১৮২টি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ। পাকিস্তান (Pakistan) ছাড়াও নির্বাচিত হয়েছে সোমালিয়া, ডেনমার্ক, গ্রিস এবং পানামা। ২০২৫ জানুয়ারি থেকে ২০২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য থাকবে এই দেশগুলো। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা-সহ অন্যান্য নানা বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতে পারবে তারা।
[আরও পড়ুন: গাজায় রাষ্ট্রসংঘের স্কুলে হামাসের ডেরা! মিসাইল হানা ইজরায়েলের, মৃত অন্তত ৩০]
নিরাপত্তা পরিষদে সদস্যপদ পেয়ে উচ্ছ্বসিত পাকিস্তান। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেন, "১৮২টি ভোট পেয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নির্বাচিত হওয়া পাকিস্তানের পক্ষে অত্যন্ত গর্বের। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় পাকিস্তানের কূটনৈতিক ভূমিকার উপরে ভরসা রেখেছে গোটা বিশ্ব। আগামী দিনে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে কাজ করবে পাকিস্তান।"
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের দাবি জানাচ্ছে ভারত। যত দিন যাচ্ছে এই দাবি আরও জোরালো হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছেন, “১৯৪০ সালে রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সে সময় ৫০টি দেশ এর সদস্য ছিল। এখন দুশোর বেশি দেশ এর সদস্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘেরও পরিবর্তন হবে। জনসংখ্যার নিরিখে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ভারত আজ বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। এরপরেও ভারতকে এখনও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করা হচ্ছে না। এতে রাষ্ট্রসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।" ইতিমধ্যে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া নয়াদিল্লির দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু বাদ সেধেছে চিন। যা নিয়ে বহুবার বেজিংকে একহাত নিয়েছে নয়াদিল্লি।