সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইমরান খানের গ্রেপ্তারির পর জ্বলছে পাকিস্তান (Pakistan)। ইমরান-সমর্থকদের বিক্ষোভ-অবরোধের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বহু রাস্তা। বিদ্রোহ দমনে কড়া পদক্ষেপ করল প্রশাসনও। যার জেরে এখনও পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত অন্তত ৬ জন পিটিআই সমর্থকদের মৃত্যু হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলার কথা জানা গিয়েছে।
বিক্ষোভ-মিছিল কম দেখেনি পড়শি দেশ। কিন্তু সেদেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক বিক্ষোভের আঁচ সেনার সদর দপ্তরে পড়ল এই প্রথম। রাওয়ালপিণ্ডিতে সেনা সদর দপ্তরে গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন শয়ে শয়ে পিটিআই সমর্থক। এদিকে লাহোর ও করাচির সেনা কমান্ডারদের বাসভবনেও ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ইমরান-সমর্থকরা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পেশোয়ারের রেডিও পাকিস্তান ভবনেও। বিভিন্ন স্থানে পথেঘাটে জ্বালানো হয় টাওয়ার। পিটিআই কর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়, ”কাহা থা ইমরান খান কো না ছেড়না।”
[আরও পড়ুন: বিরাট পর্ব অতীত, কঠিন সময়ে প্রাক্তন সতীর্থকে সাহায্য করে মন জিতলেন গম্ভীর]
সেনা-পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন পিটিআই সমর্থকের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে কোয়েত্তার ১, ফয়সলাবাদের ১, চাকধারা সোয়াটের ১ লাহোরের ১ জন রয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ইমরানের গ্রেপ্তারির পরই অগ্নিগর্ভ পাকিস্তান। যার জেরে সেদেশের সমস্ত স্কুল বুধবার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবারও একই ভাবে বিক্ষোভ চলবে বলে পিটিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে। এদিন সকাল ৮টায় ইসলামাবাদে সমস্ত কর্মী-সমর্থককে জড়ো হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গোটা দেশ জুড়েই ইমরানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলবে বলেও দলের টুইটার হ্যান্ডলে ঘোষণা করেছে দলীয় নেতৃত্ব।
এদিকে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, তারা পাকিস্তানের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তরেখায় পাহারা মজবুত রাখা হয়েছে। পাকিস্তানের অশান্তির কোনও আঁচ যাতে সীমান্তের এপারে ভারতে না পড়ে তা নিশ্চিত রাখতেই এই পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ইমরান (Imran Khan) লাহোর থেকে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে পৌঁছনোর পর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পরিচয় দেওয়ার সময়ই আচমকা সেখানে প্রবেশ করে পাক রেঞ্জার্স। দ্রুত তাঁকে ঘিরে ফেলে গ্রেপ্তার করে তারা। সেখানে উপস্থিত ইমরানের আইনজীবী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রবল মারধর করা হয়। তেমনটাই দাবি পিটিআইয়ের সিনিয়র নেত্রী শিরিন মাজারির। জানা যাচ্ছে, ৭০ বছরের পিটিআই নেতার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে মোট ১২১টি মামলা রুজু হয়েছে। বিশ্বাসঘাতকতা ও ধর্মের অবমাননা থেকে হিংসা ও সন্ত্রাসে উসকানি দেওয়ার মতো নানা অভিযোগে বিদ্ধ ইমরান।