সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’দিনের চিন (China) সফরে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ (Xi Jinping) সেদেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুই দেশের বাণিজ্য ও বিভিন্ন কূটনৈতিক বিষয়ে কথা হবে বৈঠকে।
সম্প্রতি ইতিহাস গড়ে তৃতীয়বারের জন্য চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁকে ‘সত্যিকারের বন্ধু’ বলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এরপরই শরিফের সফর ঘিরে জল্পনা, নতুন করে ‘বন্ধু’ চিনের সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠতার পিছনে হয়তো থাকতে পারে আরও ঋণ চাওয়ার পরিকল্পনা। গত এপ্রিলে পাকিস্তানের মসনদে বসেছেন শরিফ। এটাই তাঁর প্রথম চিন সফর।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড়ো’য় রাহুলের পাশে এখনও নিশ্চিত নন পাওয়ার-উদ্ধব, চিন্তায় কংগ্রেস]
পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দাবি, শ্রীলঙ্কার মতোই অবস্থা হতে চলেছে পাকিস্তানেরও। গত মে মাসেই আরব দেশটি জানিয়ে দিয়েছিল, পুরনো ঋণ শোধ করতে অপারগ পাকিস্তানকে তার আর কোনও রকম অর্থসাহায্য করবে না। এই পরিস্থিতিতে ঋণ শোধ করতে দেশীয় সম্পত্তি বিক্রির পদক্ষেপ ছাড়া কার্যত আর উপায় নেই পাকিস্তানের। তাই যে করে হোক পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চিনের দ্বারস্থ হতেই পারে ইসলামাবাদ।
উল্লেখ্য, মাও জে দংয়ের পরে প্রথমবার টানা তৃতীয়বার চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদে বসেছেন শি জিনপিং। তাঁকে এই পদে বসানোর জন্য বদলে ফেলা হয়েছে দলের বেশ কিছু নিয়মও। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষস্তরে ক্ষমতা ক্রমশই একজন ব্যক্তির হাতে চলে যাচ্ছে। তৃতীয়বার দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরে জল্পনা শুরু হয়েছে, আজীবন চিনের শাসনভার থাকতে পারে জিনপিংয়ের হাতেই। এই পরিস্থিতিতে কি শরিফের সফর কি জিনপিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতেই? উঠছে সেই প্রশ্নও।