সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে মার্কিন শর্ত মানতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)! সহজ শর্তে আইএমএফের (IMF) ঋণ পাওয়ার জন্য আমেরিকার নির্দেশ মেনে নিয়েছে শাহবাজ শরিফের প্রশাসন। মার্কিন চাপেই গোপনে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে পাকিস্তান, তার পুরস্কার হিসাবে মিলেছে আইএমএফ ঋণ- বিস্ফোরক এই তথ্য উঠে এসেছে পাক সরকারের গোপন নথিপত্রে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সংকটে ভুগে কার্যত ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। এহেন বেহাল দশা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সেদেশের প্রধান অবলম্বন এই আইএমএফ ঋণ প্রকল্প।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে পাকিস্তান সরকারের গোপন কয়েকটি নথি। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, মার্কিন (USA) হস্তক্ষেপেই পাকিস্তানকে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে আইএমএফ। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ঋণ দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের আধিকারিকদের সঙ্গে লাগাতার আলোচনায় বসেছে ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ড। শর্ত নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বহু মতানৈক্যের পর শেষ পর্যন্ত ঋণ পায় পাকিস্তান।
[আরও পড়ুন: মোবাইল চুরি করেছে, সন্দেহে বন্ধুকে গুলি করে খুন যুবকের!]
এই ঘটনার নেপথ্যে আমেরিকার হাত রয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে পাক সরকারের বেশ কয়েকটি নথিতে। জানা গিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia-Ukraine War) নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে চেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু আমেরিকার চাপে পড়েই রুশ বিরোধিতার পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশটি। গোপনভাবে ইউক্রেনকে (Ukraine) যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহও করেছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের গ্রীষ্ম থেকে ২০২৩ সালের বসন্ত পর্যন্ত অস্ত্র বিক্রি করেছে পাকিস্তান। সেই অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন।
এখানেই শেষ নয়। সূত্রের খবর, গ্লোবাল মিলিটারি প্রোডাক্টস নামে একটি সংস্থার মাধ্যমেই এই অস্ত্র কেনাবেচার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেনের নানা বিতর্কিত ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এই সংস্থার। মার্কিন মধ্য়স্থতার ফলেই ইউক্রেনকে অস্ত্র বিক্রি করেছে পাকিস্তান। তারপরেই সমস্ত মতানৈক্য দূর করে পাকিস্তানকে ঋণ দিতে রাজি হয় আইএমএফ। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সহজে ঋণ পেতে মার্কিন চাপের মুখে নতিস্বীকার করল পাকিস্তান?