সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাছের খোঁজে ভুল করে পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁদের। দীর্ঘ বছর জেলে বন্দি থাকার পর অবশেষে ২২ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিল পাকিস্তান। সাজা শেষ করার পর শুক্রবারই মুক্তি দেওয়া হয় ওই ২২ জনকে। জানা যাচ্ছে, শনিবারই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া তাঁদের। তবে ২২ জন মুক্তি পেলেও এই একই 'অপরাধে' পাকিস্তানের জেলে বন্দি রয়েছে এখনও ২০০ জনের বেশি ভারতীয়।
মাঝসমুদ্রে সেভাবে কোনও সীমান্ত চিহ্ন না থাকার কারণে প্রায়শই সমস্যার মুখে পড়তে হয় মৎস্যজীবীদের। কখনও পাকিস্তান তো কখনও বাংলাদেশের হাতে গ্রেপ্তার হন মৎস্যজীবীরা। সতর্কতা ছাড়া এর কোনও নির্দিষ্ট সমাধান এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। এভাবে ভুল করে পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২২ জনকে নির্ধারিত শাস্তির মেয়াদ পার করার পর গত শুক্রবার করাচির জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয় এই মৎস্যজীবীদের। এই ২২ জনকে করাচি থেকে লাহোরে আনার দায়িত্ব নিয়েছে এধি ফাউন্ডেশন নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেখান থেকে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে আনা হবে ২২ জনকে। ওই ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার সমস্ত রকম প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জেলবন্দি সংক্রান্ত তথ্যের আদানপ্রদান হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, বর্তমানে পাকিস্তানের হাতে বন্দি রয়েছেন ২৬৬ জন। যার মধ্যে ২১৭ জন মৎস্যজীবী। বাকি ৪৯ জন সাধারণ ভারতীয় নাগরিক। অন্যদিকে, ভারতের তরফে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে জানা গিয়েছে, ভারতের হাতে বন্দি পাকিস্তানের ৪৬২ জন নাগরিক। যাঁদের মধ্যে ৩৮১ জন পাকিস্তানি অপরাধী ও ৮১ জন সাধারণ মৎস্যজীবী।