ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মনোনয়ন পর্বে দলের গোষ্ঠীকোন্দল বা অন্য কোনওরকম ঝামেলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) অভিনব কৌশল নিচ্ছে তৃণমূল। মনোনয়ন পর্ব থেকে প্রতীক বিতরণ-সব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে দলের রাজ্যনেতাদের পাঠানো হচ্ছে জেলায় জেলায়।
যেমন কলকাতা থেকে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) যাচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুর, ফিরহাদ হাকিম যাচ্ছেন মালদহ, মুর্শিদাবাদ। এতদিন পর্যন্ত পঞ্চায়েতস্তরে দলের প্রার্থী নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রতীক বিতরণ সব দায়িত্বই থাকত ব্লক বা জেলার নেতাদের উপর। কিন্তু সেক্ষেত্রে অনেক সময় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আশঙ্কা থেকে যায়। কারণ রাজ্যের প্রায় সব বুথেই তৃণমূলের টিকিটের দাবিদার একের বেশি। জেলা সভাপতি বা ব্লক সভাপতিরা টিকিট বণ্টন করলে একটা মান অভিমানের জায়গা থেকে যায়।
[আরও পড়ুন: চাপ কাটাতে যোগাসন করুন চেয়ারে বসেই, কর্মীদের জন্য Y-ব্রেক-এর পরামর্শ কেন্দ্রের]
সেকারণেই রাজ্যস্তরের নেতাদের জেলায় পাঠিয়ে বা এক জেলার নেতাদের অন্য জেলার পাঠিয়ে মনোনয়ন থেকে প্রতীক বিতরণ, সব প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। যেমন রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন প্রতীক বিতরণের জন্য যাচ্ছেন হুগলিতে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার নেতা শুভাশিস চক্রবর্তী প্রতীক বিতরণের জন্য যাচ্ছেন হাওড়ায়। আবার পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehasis Chakrabarty) যাচ্ছেন দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। তেমনি মনোনয়নের জন্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন কোচবিহার, তাপস রায় যাচ্ছেন জলপাইগুড়ি, জয়প্রকাশ মজুমদার যাচ্ছেন ঝাড়গ্রাম।
[আরও পড়ুন: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ওড়ানো যাবে না ড্রোন, রথযাত্রার আগে কড়া নিষেধাজ্ঞা পুলিশের]
এর আগে পুরসভা নির্বাচনেও (Municipal Elections) এই একইভাবে কেন্দ্রীয় নেতা বা এক জেলার নেতাদের আরেক জেলায় পাঠিয়ে মনোনয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাতে ঝামেলা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছিল। তৃণমূলের আশা, পঞ্চায়েত স্তরে একইভাবে কেন্দ্রীয় স্তরে ঝামেলা বা কোন্দল নিয়ন্ত্রণ কমানো যাবে। যদিও এবার বুথ এবং প্রার্থী সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় কাজটা বেশি কঠিন।