সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগামহীন হিংসার মধ্যে দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) শেষ হয়েছে। ভোট পরবর্তী সময়েও রক্তপাত, মৃত্যু, জখমের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এসব নিয়ে ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তথা প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীর, দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়রা পরোক্ষে রাজ্য পুলিশ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করছেন। তাঁদের সেই প্রতিক্রিয়ার পালটা দিতে গিয়ে দলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ”এই ধরনের সন্ত্রাস বাংলায় বিরোধীরা যা করেছে, তা খুব খারাপ। আগের থেকে পরিস্থিতি ভাল। আর হুমায়ুন দর্শনের কথা বলেছেন।”
শনিবার দিনভর নানা ঘটনার ঘটেছে রাজ্যজুড়ে। মধ্যরাত পর্যন্তও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তারপর দিন এসব নিয়ে ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক তথা একদা দুঁদে পুলিশ অফিসার হুমায়ুন কবীর বেশ ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। রবিবার তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ”বাঙালি হিসেবে আমি লজ্জিত, মর্মাহত। মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে লজ্জায়। আর কতদিন এসব চলবে? যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু আমরা বদলাতে পারছি না। কেন প্রাণহানি শূন্য করা যাচ্ছে না? আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।”
[আরও পড়ুন: বিজেপির ‘দালালি’ বন্ধের দাবি, ‘কমরেড’দের বিক্ষোভে তালা বন্ধ আলিমুদ্দিনের পার্টি অফিসে!]
সোমবার দমদমের সাংসদ (TMC MP) তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সৌগত রায় কার্যত রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করেছেন। তাঁর কথায়, ”যা ঘটেছে, ঠিক হয়নি। একটিও মৃত্যু না হলেই ভাল হতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমার মনে হয়, কমিশনের আরও সতর্ক থাকা দরকার ছিল।” এদিন বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)প্রতিক্রিয়া, ”ওঁরা ঠিকই তো বলেছেন। এই ধরনের সন্ত্রাস বাংলায় বিরোধীরা যা করেছে, তা খুব খারাপ। আগের থেকে পরিস্থিতি কিছুটা ভাল। তবে আবারও বলছি, যা হয়েছে, সেটা ঠিক না।” পাশাপাশি হুমায়ুন কবীরের বক্তব্যকে ‘দার্শনিক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অর্থাৎ গোটা পরিস্থিতি যে বিরোধীদের উসকানির ফল, কমিশনের দায় নেই, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে