গৌতম ব্রহ্ম: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস রুখতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) ফলপ্রকাশের পরও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তা কীভাবে মোতায়েন থাকবে, তা ঠিক করতে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক করল নবান্ন (Nabanna)। বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, IG, BSF’এর সঙ্গে হয়ে গেল বৈঠক। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রতি জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের সংবেদনশীল এলাকায় আপাতত রাজ্য পুলিশের সঙ্গে বিএসএফ (BSF) টহল দেবে। প্রত্যেক জেলায় ইতিমধ্যেই একজন করে নোডাল অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছে বিএসএফ। সীমান্তরক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের যাতে থাকা, খাওয়া বা যাতায়াতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক শেষে মুখ্যসচিব এই ব্যাপারে সমস্ত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের (SP) সতর্ক করেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সবরকমভাবে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘ফিরে যাওয়ার চেয়ে মৃত্যু ভাল’, বলছেন ভারতীয় যুবকের প্রেমের টানে সীমান্ত পেরনো পাক যুবতী]
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)মোতায়েন রয়েছে। ব্লক স্তর পর্যন্ত কোথাও কোনও অশান্তি বা হিংসার ঘটনা ঘটলে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৪০ জনের। যদিও সরকারি হিসেবে, ১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। পরিস্থিতি দেখেই উচ্চ আদালত জানিয়েছিল, ভোটের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। সেই মর্মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলুক কমিশন। সেইমতো বৃহস্পতিবার নবান্নে বাহিনী রাখা নিয়ে বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, নোডাল অফিসারের (Nodal Officer) নেতৃত্বে স্পর্শকাতর এলাকায় থাকবে বিএসএফ।
[আরও পড়ুন: ‘ভোটে জিতলে টাকাই টাকা, সেজন্য লড়াই?’, প্রশ্ন হাই কোর্টের বিচারপতি সিনহার]
এদিন বিএসএফ সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে বিবৃতি দেয়, ‘‘প্রিয় মিডিয়া বন্ধুরা, আপনারা ভোটের সময়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন, বিভিন্ন হিংসা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা-সহ ভোট সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়েরই ভাল কভারেজ দিচ্ছেন। যেহেতু আপনাদের প্রতিনিধিরা গ্রাউন্ড জিরো-তে রয়েছেন এবং আপনারা বিভিন্ন দলের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তাই সেই সূত্রে আপনারা যদি ভোট-পরবর্তী হিংসার কোনও ঘটনা জানতে পারেন বা কোনও তথ্য পান, তাহলে আমাদের টিমকে জানান। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় ব্লক লেভেল পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এবং তাদের উপর হিংসা সামলানোর দায়িত্ব রয়েছে। আপনারা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর দিয়ে সাহায্য করুন।”