চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ পড়ছেনে বহু উপভোক্তা। নাম নথিভুক্ত হয়নি বহু উপযুক্ত উপভোক্তার। তাই এবার জনরোষের ভয়ে গণইস্তাফা দিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ২ ব্লকের মালিহাটি কান্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ সদস্য। শনিবার বিডিওর কাছে ইস্তফাপত্র জমা করেছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। কান্দি মহকুমার ভরতপুর-২ ব্লকের মালিহাটি কান্দ্রা পঞ্চায়েত এলাকায় তালিকায় ঠাঁই পায়নি বহু উপযুক্ত উপভোক্তা। দেদার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে জনরোষ বাড়ছে। পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান-সহ ১৭ সদস্যর অভিযোগ, চারপাশে যা হচ্ছে তাতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছন তাঁরা ও তাঁদের পরিবার। যে কোনওদিন জনরোষের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা। সেই আশঙ্কায় এদিন কাঁদতে কাঁদতে এবার গণপদত্যাগ করেন মালিহাটি কান্দ্রা পঞ্চায়েতের ১৭ সদস্য। বিডিও অফিসে পদত্যাগপত্র জমা পড়লেও তা এখনও গৃহীত হয়নি।
[আরও পড়ুন: বিক্ষোভের মাঝে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা, ছাত্রভোট নিয়ে যাদবপুরের পড়ুয়াদের দাবিতে মিলল আশ্বাস?]
এ প্রসঙ্গে এদিন পঞ্চায়েত প্রধান সৈয়দ নাসিরুদ্দিন বলেন, “২০১৮ সালে যে সরকারি সার্ভে হয় তার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে এবার। তাতে বহু দুঃস্থ, ঘর না থাকা অর্থাৎ উপযুক্ত উপভোক্তাদের নাম নেই। তালিকায় দুর্নীতি হয়েছে। আবার এমন অনেকের নাম তালিকায় রয়েছে যাদের পাকাবাড়ি রয়েছে। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার খাতিরে এদিন আমরা গণইস্তফা দিলাম।” আতঙ্কিত গলায় তিনি আরও জানান, “চারিদিকে যা হচ্ছে তাতে আমাদের পরিবার ও আমাদের উপর আক্রমণ হতে পারে। আমাদের হেনস্তা করা হতে পারে।” পঞ্চায়েত প্রধান আরও জানান, পঞ্চায়েতের সকল সদস্য মিলে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিডিওর কাছে পদত্যাগপত্র জমা করেছেন তাঁরা। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, পিঠ বাঁচাতেই পদত্য়াগ করলেন পঞ্চায়েত সদস্যরা।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিন বিডিওর তরফে জানানো হয়েছে আগামী মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে। তবে বিরোধীদের দাবি, দুর্নীতির আবহে পিঠ বাঁচাতেই এই গণইস্তফা।
[আরও পড়ুন: ‘মক্কেল এত ভিআইপি! গর্ব হওয়া উচিত’, অনুব্রতর আইনজীবীর সঙ্গে মশকরা বিচারপতির]