মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: ক্লাসে গোলমাল করায় এক ছাত্রকে কান ধরে উঠবোস করিয়েছিলেন ক্লাস টিচার। পরিবর্তে ওই ছাত্রের পরিবারের হাতে প্রহৃত হলেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকই। স্কুলে ঢুকে ব্যাপক মারধর করা হয় ওই শিক্ষককে। শুধু তাই নয়, বাধা দিতে গেলেও সহশিক্ষকদের কেউ মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, শিক্ষিকাদেরও রেয়াত করা হয়নি বলে দাবি। সোমবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে সোমবার শ্যামপুরের নওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুলে।
এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারেদের মধ্যে। রাতেই ওই শিক্ষক শ্যামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। সূত্রের খবর পুলিশ অভিযুক্তদের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
[আরও পড়ুন: কেন বিরাটকে ম্যাচের সেরার পুরষ্কার দেওয়া হবে? মেজাজ হারালেন গম্ভীর!]
সোমবার দশম শ্রেণির ‘বি’ বিভাগের (সেকশন) ইংরেজি ক্লাস চলছিল। ক্লাস নিচ্ছিলেন ইংরেজির শিক্ষক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। অভিযোগ, এক ছাত্র ক্লাস চলাকালীন গণ্ডগোল করতে থাকে। এতে অন্যান্য ছাত্রদেরও অসুবিধা হচ্ছিল। তারা শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানায়। এরপর শাস্তি দিতে ওই ইংরেজি শিক্ষক তাকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। কিন্তু সে বাইরে দাঁড়িয়েছিল। শেষে প্রসেনজিৎবাবু তাকে ভিতরে ডেকে কানমলা দিয়ে ওঠবোস করতে বলেন। শিক্ষকের কথা মেনে ছেলেটি ওঠবোস করে।
এরপরই টিফিন চলাকালীন শিক্ষক রুমে হঠাৎই চড়াও হয় ছাত্রের আত্মীয়-সহ চারজন স্থানীয় বাসিন্দা। সঙ্গে ছিল ছাত্রটিও। সেই ইংরাজি শিক্ষককে চিনিয়ে দেয়। এরপর প্রসেনজিৎ বিশ্বাস-সহ অন্য়ান্য় শিক্ষকদের উপর চড়াও হয় ছাত্রটির পরিবারের সদস্যরা। বেধড়ক কিল, চড় এবং ঘুসি মারতে থাকে। বাধা দিতে এসে আহত হন শিক্ষকরা। গোটা ঘটনাটাই সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেই মারধরের ওই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রাক্তন ছাত্ররা। কীভাবে ছাত্রের অভিভাবক স্কুলে ঢুকে এধরনের কাজকর্ম করতে পারে?