সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। দলও তাঁকে সমস্ত পদ থেকে অপসারণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা একযোগে তোপ দাগল বাংলার শাসকদলকেই। কেউ বললেন, বলির পাঁঠা করা হয়েছে পার্থকে। কারও বক্তব্য, তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে কিংবা দলীয় পদ থেকে অপসারণ করে দায় এড়াতে পারে না তৃণমূল। বিজেপি (BJP), সিপিএম (CPM) একযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বৃহস্পতিবার এসএসসি নিয়োগে আর্থিক দুর্নীতির বিরোধিতায়, পার্থ-অর্পিতার গ্রেপ্তারি নিয়ে একাধিক স্লোগান তুলে পথে নেমেছিল রাজ্য বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) নেতৃত্বে ধর্মতলা চত্বরে বড় মিছিলে পা মিলিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের অনেকেই। তাতে সকলের হাতে ছিল বড় ব্যানার, পোস্টার। তাতে দুর্নীতি বিরোধী একাধিক স্লোগান লেখা। রাহুল সিনহা, মীনাদেবী পুরোহিত-সহ অনেককেই দেখা গেল সামনের সারিতে। ধর্মতলায় তাঁদের মিছিল আটকায় পুলিশ। সেখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। তৃণমূলের সর্বস্তরেই এ ধরনের দুর্নীতি রয়েছে। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এভাবে শাপমোচন করতে পারবে না।
এদিকে, এসএসসি (SSC)আন্দোলনকারীদের বরাবর আইনি সহায়তা দিয়ে গিয়েছেন সিপিএম নেতা তথা দুঁদে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। মন্ত্রিসভা ও দল থেকে পার্থবাবুর অপসারণ নিয়ে তাঁর বক্তব্য, আসল দোষী মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকেও ছেঁটে ফেলুক দল। সিপিএমের আরেক নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এই দুষ্কৃতীদের সরকার থেকে নিষ্কৃতি চায় সাধারণ মানুষ। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের আবার দাবি, পার্থবাবুকে অপসার করেই দায় এড়াতে পারে না দল।
[আরও পড়ুন: অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার সেক্স টয়! গুঞ্জনে মজেছে নেটদুনিয়া]
তবে বিরোধীদের এসব দাবির পালটা দিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) প্রতিক্রিয়া, ”দুর্নীতির কথা কারা কী বলছে? বাম আমলের দুর্নীতির কথা সবাই জানে। আর বিজেপির তো এসব কিছু বলা সাজেই না। সারদাকাণ্ডে সিবিআইয়ের (CBI) এফআইআরে নাম রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তা সত্ত্বেও তিনি গ্রেপ্তার না হয়ে পদে রয়েছেন কীভাবে?”