অভিষেক চৌধুরী, কালনা: পাঁচ টাকা থেকে পঞ্চাশ টাকা, এমনকী পাঁচশো এবং হাজার টাকাও নাকি মিলছে রাস্তার ধারে থাকা এক যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মন্তেশ্বরের বনপুর এলাকায়। তবে সম্প্রতি নয়, বিগত বেশ কয়েকমাস ধরে ওই প্রতীক্ষালয়ে ঘটছে এমনই সব অদ্ভুত ঘটনা। আর এই ঘটনাতেই বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। যদিও এই টাকা কোথা থেকে কীভাবে আসছে সেই রহস্যের উদঘাটন এখনও পর্যন্ত করতে পারেনি কেউ।
মন্তেশ্বরের পিপলন গ্রাম পঞ্চায়েতের বনপুর এলাকায় বামুনিয়া-মঙ্গলপুর রোডে রয়েছে ওই যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি। আর সেখানেই দিনের বিভিন্ন সময়ে টাকা পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় বেশ কয়েকজনের। সেই টাকা পাওয়ার সৌভাগ্যও হয়েছে অনেকের। দু’দিন আগেই ওই প্রতীক্ষালয়ে খেলতে গিয়ে পাঁচশো টাকাও মিলেছে বলে দাবি বনপুরের মহিবুল শেখ নামে এক খুদের। সে জানায়, ওখানে খেলতে গিয়ে ওই টাকা তাঁর নজরে পড়ে।
[আরও পড়ুন: পরিচিত পুরুষের পাশে বসে ট্রেনে যাতায়াত, সালিশি সভায় মাতব্বরদের নিদানে একঘরে মহিলা]
ঘটনা অদ্ভুত হলেও সত্যি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানান প্রতীক্ষালয়ের পাশে থাকা চায়ের দোকানদার জামিরুল বড়া। তিনি বলেন, “দিনের বিভিন্ন সময়ে অনেকেই ওখানে টাকা পেয়েছেন। আমাকে ডেকেও বেশ কয়েকজন দেখিয়েছেন। আমি নিজেও টাকা পড়ে থাকতে দেখেছি। এমন ঘটনা প্রায় ৫-৬ মাস ধরে হচ্ছে। এখান থেকে আড়াই হাজার টাকাও একজন পেয়েছেন বলে শুনেছি।”
এদিকে, রফিকুল মণ্ডল, রিয়াজ বড়া নামের আরও বেশ কয়েকজন খুদে ওখানে খেলতে গিয়ে ১৫০ টাকা, ৬০ টাকা, ৩০ টাকা করে দু-দফায় বেশ কিছু টাকা পেয়েছে বলেও জানায়। যদিও এমন এক অদ্ভূতুড়ে ঘটনার রহস্যের কিনারা এখনও হয়নি। পিপলন পঞ্চায়েতের প্রধান সরিফুদ্দিন শেখ বলেন, “ওই প্রতীক্ষালয় থেকে অনেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা পেয়েছে এমন ঘটনার কথা কানে এসেছে। এইরকম ঘটনা কীভাবে ঘটছে তা জানা নেই।” এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।