আশ্চর্য প্রদীপ ছবিতে শ্রীলেখা মিত্রর চরিত্রের নামটা মনে আছে? কিংবা ফুকরে ছবিতে বরুণ শর্মার? শ্রীলেখার নাম ছিল মালা মাল৷ আর বরুণ হয়েছিলেন চুচা৷ কিছু কিছু নাম অথবা নাম ও পদবি যুক্ত হয়ে যা দাঁড়ায়, তা প্রকাশ্যে বলতেও দ্বিধা বোধ হয়৷ এ তো রিল লাইফের উদাহরণ৷ রিয়েল লাইফেও অদ্ভূত নাম বা পদবি নিয়ে অনেককেই সারা জীবন কাটাতে হয়৷ নাম বিভ্রাটের বেশ কিছু নমুনা আমাদের আশেপাশেই ছড়িয়ে আছে৷ এই যেমন ধরুন, কোনও ব্যক্তির পদবি যদি বল হয়, তাঁকে ‘বলদা’ বলে সম্বোধন করলেই কেলেঙ্কারি কাণ্ড ঘটবে৷ এতদূর পর্যন্তও হয়তো মেনে নেওয়া যায়৷ কিন্তু নিচের ছবিগুলোতে যে পদবি লেখা, তা দেখলে চোখ কপালে উঠবে৷
Advertisement
না, সামনে কোনও “অব কি বার” নেই৷ এই চিকিৎসকের নামই মোদি সরকার৷ মোদি সরকারের আমলে নিশ্চয়ই তাঁর বেশ রমরমা! তা অবশ্য জানা নেই৷ তবে ২০১৪-র পরই যে তিনি বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই৷
এই দুই চিকিৎসককে ডাকতে রোগীরাই লজ্জা পান৷ তাহলে ভাবুন চিকিৎসকদের কী অবস্থা!
ভোটার আইডি কার্ডের নামটা বরং নিজেই পড়ে নিন৷ এ তো মুখে আনার মতোই নয়!
নাম নিয়ে বন্ধুদের আড্ডায় যে এই লাইব্রেরিয়ানকে ঠাট্টা করা হয়, তা আন্দাজ করতে খুব একটা অসুবিধে হয় না৷
নামেই কোনও মানুষের পরিচয়৷ সেই নামই যদি পরিচয় দিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে বেশ মুশকিল৷ তবে এর একটা ইতিবাচক দিকও রয়েছে৷ এমন নাম একবার শুনলে আর কখনও কেউ ভুলবেন না৷
এই হোর্ডিংটি দেখুন৷ লম্বা ডিগ্রি রয়েছে যাঁর পকেটে, তাঁর পদবীতেই গলদ! নিজের নাম বললেই সামনের ব্যক্তি ভাবতেই পারেন, তাঁকে গালাগাল করা হচ্ছে৷ কী জ্বালা!
আর এই ছবিটির বিষয়ে যত কম বলা হবে, ততই ভাল৷ কারণ, এই চিকিৎসক গলা ফাটিয়ে যতই বলুন তিনি ভাল মানুষ, তাঁর পদবি কিন্তু এক্কেবারে উল্টো কথা বলে!
The post নাম বিভ্রাটে জর্জরিত ওঁরা! appeared first on Sangbad Pratidin.