শুরু হয়েছে আমাদের নতুন ফিচার। ‘উঠতি তারা’ আলোচনা করবে হালে আগমন হওয়া নতুন কোনও প্রোডাক্ট। এনএফও, নয়া কোনও বিমা প্রকল্প বা আইপিও – বাজারে প্রথমবার আসা একটি পণ্য নিয়ে চর্চা হবে। এবারের বিষয় বাজাজ ফিনসার্ভ লার্জ অ্যান্ড মিড ক্যাপ ফান্ড
একইসঙ্গে লগ্নি সম্ভব লার্জ এবং মিড ক্যাপ স্টকে। বাজাজ ফিনসার্ভের নিউ ফান্ড অফার নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, ডাইভারসিফায়েড পোর্টফোলিও গঠিত হবে গুচ্ছ স্টক দিয়ে। জানাচ্ছে টিম সঞ্চয়
লার্জ এবং মিড ক্যাপ স্টকে একসঙ্গে লগ্নি করার লক্ষ্যে বাজাজ ফিনসার্ভের নিউ ফান্ড অফার প্রাথমিক সাবসক্রিপশনের জন্য বন্ধ হবে আগামি ২০শে ফেব্রুয়ারি। কী পেতে সুবিধা পারেন বিনিয়োগকারী এই বিশেষ শ্রেণির ফান্ডে? সংস্থার মতে তিনটি বিষয়ের দিকে নজর রাখতে পারেন তাঁরা।
- এক গুচ্ছ স্টক দিয়ে গঠিত হবে ডাইভারসিফায়েড একটি পোর্টফোলিও।
- ‘বটম-আপ’ পন্থায় বিশ্বাস রাখবেন ফান্ড ম্যানেজার।
- তাঁর উদ্দেশ্য ক্যাপিটাল গ্রোথ, যা বিশেষত দীর্ঘমেয়াদী লগ্নিকারীরা পাওয়ার সুযোগ পাবেন।
- ফান্ডের সূচক : নিফটি লার্জ মিডক্যাপ ২৫০
- আবেদন করার নূন্যতম পরিমাণ : ৫০০ টাকা
- নূন্যতম অ্যাডিশনাল অ্যাকাউন্ট : ১০০ টাকা
- অ্যালটমেন্টের পর ছমাস কেটে গেলে কোনও এগজিট লোড ধার্য করা হবে না।
ফান্ডের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার শ্রী নিমেশ চন্দ্রন জানিয়েছেন, তিনি সম্ভাবনাময় কোম্পানির স্টক বেছে নেবেন, যেখানে গ্রোথের প্রতিশ্রুতি বোঝা যাচ্ছে। সংস্থাগুলোর প্রফিটেবিলিটি পরীক্ষা করবেন এবং যথাসম্ভব ‘রিস্ক মিটিগেশন’ যাতে হয়, তারও চেষ্টা করবেন।
[আরও পড়ুন: বিনিয়োগের জগতে ভবিষ্যৎ এআই, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা]
‘সঞ্চয়’-এর পক্ষ থেকে আমরা বলতে চাই যে, ডাইভারসিফিকেশনের সুযোগ পাবেন লগ্নিকারীরা এই জাতীয় অ্যালোকেশন থেকে। এই মুহূর্তে ভারতীয় বাজারে লার্জ ক্যাপ নিয়ে নতুন চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মিড ক্যাপেও আশা দেখছেন অনেক লগ্নিকারী নতুনভাবে। ঘটনাচক্রে স্মল ক্যাপে ইদানীং জোর গতিতে ভ্যালুয়েশন বেড়ে গিয়েছে, তাই বাজারের একাংশ স্মল ক্যাপ এড়িয়ে চলতে চাইছেন বলে অনেকের বিশ্বাস। নতুন লগ্নিকারীদের জন্য লার্জ এবং মিড ক্যাপ সদর্থক হবে, কারণ এখান থেকে ভ্যালুয়েশনের অগ্রগতির সম্ভাবনা আছে। তবে একেবারে অনেক বিনিয়োগ না করে যদি সিপের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া যায়, তাহলে সুরক্ষার মাত্রা বাড়বে। সিপ দিয়ে ‘রুপি কস্ট অ্যাভারেজিং’ করার সুযোগ হারাবেন না–এমন উপদেশ অনেক পেশাদার পরামর্শদাতাই দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই আমাদের অনুমান।