বাজারে এখন নতুন আইপিও এবং ফান্ড অফারের ছড়াছড়ি। তবে এ কথা স্মরণযোগ্য যে, সব সংস্থার সব অফারই কিন্তু বিনিয়োগযোগ্য নয়। কাজেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে, আগেভাগে পরিকল্পনা করে তবেই এগোনে শ্রেয়। বিস্তারিত জানাচ্ছে টিম সঞ্চয়
বিগত দুবছরে প্রচুর আইপিও এবং এনএফও বাজারে এসেছে। দলে দলে লগ্নিকারী এগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে টাকা দিয়েছেন। সব ইস্যুই কি রিটার্ন এনেছে? না, আরও পরিষ্কারভাবে ধরলে, এমন পারফরম্যান্স প্রতিটি সংস্থার পক্ষে আনা সম্ভব নয়। এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা খুব ভালো ফল দেখিয়েছে, এমন কিছু প্রাইমারি ইস্যু এবং ফান্ডের প্রকল্পের কথা লিখলাম। উদ্দেশ্য: ইনভেস্টরদের বলে রাখা যে সব সংস্থার অফারই বিনিয়োগযোগ্য হয় না। তবে কী ফলাফল হবে ভবিষ্যতে, তার কোনও আন্দাজ প্রায় কখনওই আগেভাগে পাওয়া যায় না। সঙ্গের চার্টে ধরা পড়ল কিছু পরিসংখ্যান। এছাড়াও রইল হালে আসা বড় মাপের সংস্থা, জোম্যাটোর কথা। সব তথ্য গত ২২শে নভেম্বরের।
অন্যদিকে, গত নভেম্বর মাসের ইস্যুর তালিকায় (ড্রাফ্ট অফার ডকুমেন্ট যেগুলো সেবির কাছে পাঠানো হয়েছে) আছে অনেক বৈচিত্র্য। বায়োটেক এবং হসপিটালিটি সেক্টর থেকে শুরু করে, সম্ভাব্য অফারের সূচিতে আছে রিনিউয়াল এনার্জি, ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার।
১- এজিস ডোপাক টার্মিনালস
২- সাতভিক গ্রিন এনার্জি
৩- বেলরাইজ ইন্ডাস্ট্রিজ
৪- পারামেসু বায়োটেক
৫- ব্রিগেড হোটেল ভেনচারস
৬- এইচডিবি ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস
৭- আনলন হেলথকেয়ার
৮- দেব একসিলেটর
৯- ভিনয় কর্পোরেশন
১০- বিক্রম ইঞ্জিনিয়ারিং
সূত্র : সেবি
টিম সঞ্চয়-এর পক্ষ থেকে আমরা বলতে চাই যে, সাম্প্রতিককালে একগুচ্ছ ছোট সংস্থা প্রাইমারি মার্কেটে পা রেখেছে। লিস্টিং করার দৌড়ে সামিল হয়ে এগুলোর বড় অংশই দেখেছে বিপুল সাবসক্রিপশন। সব ইস্যুতে কিন্তু প্রচুর লাভ দেয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি বিশেষ কথা–
ক- প্রত্যেকটি অফারই আপনার পক্ষে ভালো, এমন নয়। তাই বেছে-ঝেড়ে অ্যাপ্লাই করুন।
খ- ‘লিস্টিং গোলস’ প্রতিবার নাও আসতে পারে। যাঁরা এমন লাভ খুঁজছেন, তাঁরা সাবধানে পা ফেলবেন।
গ- লিস্টিং হওয়ার পর কিছু দিন অপেক্ষা করে মনের মতো দাম পাননি, এমনও অনেকে আছেন। ইদানিংকালে ‘ওলা ইলেকট্রিক’ এই তালিকায় রয়েছে। দাম চড়েছে প্রথম দিনেই, তবে এই ধারা অব্যাহত থাকেনি, এখন অনেকটাই নেমে এসেছে। এমন উদাহরণ আরও আছে বাজারে।