আগ্রহ বাড়ছে বন্ধন রিডিসকভারি ফান্ডের ড্রাফট অফার ডকুমেন্ট নিয়ে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, নিফটি হান্ড্রেডের বাইরে থেকে স্টক বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে এই জাতীয় ফান্ড লগ্নিকারীর পক্ষে সহায়ক হবে। বিস্তারিত জানাচ্ছে টিম সঞ্চয়
সেবির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে প্রস্তাবিত বন্ধন রিডিসকভারি ফান্ডের ড্রাফট অফার ডকুমেন্ট। দীর্ঘমেয়াদী ক্যাপিটাল গেনসের জন্য গঠিত হবে প্রকল্পটির পোর্টফোলিও। অন্তর্গত করা হবে না নিফটি হানড্রেড সূচকের স্টকগুলো। তবে ফান্ডের বেঞ্চমার্ক ধরা হয়েছে Nifty 100 Total Returns Index. সঙ্গে রইল কয়েকটি খুঁটিনাটি।
ক- উদ্দেশ্য: লংটার্ম গ্রোথ, মূলত ইক্যুইটিতে লগ্নি করে বড় রিটার্ন আনার চেষ্টা করবেন ফান্ড কর্তৃপক্ষ।
খ- এক্সিট লোড: যদি অ্যালটমেন্টের এক মাসের মধ্যে ইউনিট বিক্রি করেন বিনিয়োগকারী, তাহলে ০.৫০% লোড দিতে হবে।
৫- নূন্যতম লগ্নি: এনএফওর মধ্যে যদি লাম্পসাম লগ্নি করেন, তাহলে অন্তত ১,০০০ টাকা লাগবে। এছাড়া, সিপের জন্য নূন্যতম ১০০ টাকা দরকার।
কর্তৃপক্ষের মতে, নিফটি হানড্রেডের বাইরে থেকে স্টক বেছে নেওয়ার জন্য এই জাতীয় ফান্ড সাধারণ ইনভেস্টরের পক্ষে উপযোগী হবে। এখানে ‘রিডিসকভারি’ কথাটি খুব প্রাসঙ্গিক।
ড্রাফট অফার ডকুমেন্ট অনুযায়ী বহু ক্ষেত্রে দেখে যায় যে, গ্রোথের সম্ভাবনা থাকা সত্বেও মূলধারার লগ্নিকারীরা (Mainstream investors) সেগুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাই ফান্ড ম্যানেজারের ভালো সুযোগ খুঁজতে চান। যেভাবে বিনিয়োগ করলে সবথেকে রিটার্ন পাবেন, সেইভাবে তিনি স্টক বেছে নেবেন। এই শ্রেণির স্টক, তাঁর অভিমত, ‘রিবাউন্ড’ করতে পারবে যথেষ্ট সময় দিলে। আর সেভাবেই রিটার্ন পাওয়া যাবে।
টিম সঞ্চয় বিশ্বাস করে, বন্ধনের সর্বশেষ অফারটি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা উচিত, তবেই নিজের রিস্ক প্রোফাইলের সঙ্গে মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এককালীন লগ্নি করার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত হারে সিপ পরিচালনা করার পক্ষপাতী আমরা। তবে অবশ্যই নিজের উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে, এগিয়ে যাওয়া উচিত হবে কি না আদৌ, তা জেনে নিতে হবে।
(সঙ্গের চার্টে বন্ধন মিউচুয়াল ফান্ডের বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেওয়া হল বিশেষ কয়েকটি ইক্যুইটি ফান্ডের জন্য)।
বন্ধন ফান্ডস
ইক্যুইটি ফান্ডস