shono
Advertisement

স্বল্প ঝুঁকিতে অধিক রিটার্ন, বিনিয়োগ করুন মিউচুয়াল ফান্ডে

বরিষ্ঠ নাগরিকদের জন্য আদর্শ হতে পারে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ।
Posted: 05:12 PM Nov 08, 2021Updated: 05:12 PM Nov 08, 2021

সিনিয়র সিটিজেনরা যদি মার্কেটে বিনিয়োগ করতে চান, সরাসরি না করে তাঁরা মিউচুয়াল ফান্ডের কথা ভাবতে পারেন–তাতে হয়তো পরিশ্রমের বহর কিছুটা কম হবে এবং ঝুঁকিও কিঞ্চিৎ কমবে। অবসর করেছেন অনেক আগেই এবং ইকুইটি ফান্ডে লগ্নি করে ভাল লাভ করেছেন, এমন প্রবীণ মানুষের সংখ্যা কম নয়। তাই এই নিয়ে দু’চার কথা না বললেই নয়।

Advertisement

সর্বপ্রথম জেনে রাখুন, রিস্কের মান কিন্তু কম নয়, কারণ ইকুইটি-ভিত্তিক ফান্ড অবশ্যই স্টক মার্কেটের উপর নির্ভরশীল। কাজেই ন্যাভ (NAV) পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনার সম্পর্কে সদাসতর্ক থাকাই শ্রেয়, এবং ‘সঞ্চয়’-এর পাঠকরা এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল নিশ্চয়ই এতদিনে হয়েছেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।

[আরও পড়ুন: লগ্নির দুনিয়ার ভবিষ্যতের পাসওয়ার্ড ‘ফিনটেক’, জেনে নিন সহজে লগ্নির খুঁটিনাটি]

হাতে বাছাই কিছু ফান্ড (রিটায়ারমেন্ট বলে যে শ্রেণির ফান্ড বাজারে পাওয়া যায়, তা আদতে একেবারে ব্যতিক্রমী বা ভিন্ন ধরনের কিছু নয়) নিয়ে নিজের কর্পাস গড়ে তুলতে পারেন। হয়তো শুরুতে ‘বাল্ক’ (অর্থাৎ এককালীন) ইনভেস্টমেন্ট করলেন, পরে সুবিধামতো তাতে উদ্বৃত্ত সম্পদ জোড়া দিলেন। এবং তারপর সিস্টেম্যাটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান (SWP) চালু করে প্রতি মাসে (বা প্রতি কোয়ার্টারে) নিজের দরকারমাফিক টাকা ব্যাংকে পাঠাতে লাগলেন। SWP-এর কিছু সুবিধা বিলক্ষণ আছে এবং চাহিদা অনুযায়ী তার সদ্‌ব্যবহার করাই ভাল।

যদি কিছুটা রিস্ক কমাতেই চান, তাহলে ইকুইটির জায়গায় ব্যালেন্সড ফান্ডও বেছে নিতে পারেন। বুঝতেই পারছেন, এক্ষেত্রে কিছু ডেট ইনভেস্টমেন্ট থাকে, সেই জন্যই নামটি ‘ব্যালেন্সড’। তেমন ফান্ড থেকেও SWP করা সম্ভব। বেশ কিছু ব্যালেন্সড শ্রেণিভুক্ত ফান্ড বর্তমানে মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে–তাদেরই মধ্যে থেকে উদাহরণস্বরূপ বিড়লা মিউচুয়াল ফান্ডের ব্যালেন্সড অ্যাডভান্টেজ ফান্ডের কথা আজ সংক্ষেপে বলি। এখানে আমাদের বিশেষ কিছু পক্ষপাত নেই তা বলে রাখা ভাল।

বৈশিষ্ট্য :
১. মূলত ইকুইটি-ভিত্তিক, তবে ডেটের অংশও কম নয়।
২. নভেম্বর ২ তারিখের ন্যাভ অনুযায়ী ৫ বছরের রিটার্ন প্রায় ৬০ %।
৩. যদি ১,০০০টাকা নভেম্বর ২০১১-এ লগ্নি করে থাকেন, তার ভ্যালু আজ প্রায় ১৬,০০০ টাকা।
৪. পোর্টফোলিওর প্রধান স্টকগুলির মধ্যে রয়েছে ICICI Bank, HDFC Bank, HDFC, ITC এবং Reliance Industries। স্থানাভাবে সব দেওয়া যাচ্ছে না। কেবল গ্রোথ অপশনের পরিসংখ্যান দেওয়া হল। বিনিয়োগকারী নির্দিষ্ট ফান্ড হাউসের সঙ্গে আলোচনা করেই যেন লগ্নির সিদ্ধান্ত নেন। অতীতের পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যান ভবিষ্যতে নাও পাওয়া যেতে পারে।

[আরও পড়ুন: মহামারী বদলে দিয়েছে লেনদেনের প্রক্রিয়া, ডিজিটাল ব্যাংকিংই এখন ভবিষ্যৎ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement