মার্কেটের অনিশ্চিত কিন্তু অমোঘ আকর্ষণ ছাপিয়ে নিয়মিত এবং জানাশোনা রোজগারেই মূলত খুশি–এমন ইনভেস্টরের সংখ্যা কম নয়। ‘কোর’ পোর্টফোলিওতে বিভিন্ন ডিপোজিট এবং বন্ড থাকা উচিত, এমনই মনে করেন তাঁরা। ফিক্সড ইনকামে ভরসা কেন, কেনই বা তার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন? এই বাজারে তার প্রাসঙ্গিকতা কতখানি? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে ডিপোজিট সংস্থার প্রতিনিধি এবং উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করে বোঝা যাচ্ছে যে, হ্যাঁ-স্থায়ী উপার্জন (স্বল্প হলেও) চাই-ই চাই। তাই নিজেদের পোর্টফোলিওর ছোট-বড় অংশ মার্কেট-লিঙ্কড রিটার্নের জন্য নয়, বরং চেনা গণ্ডির মধ্যেই রাখবেন তাঁরা।
ফিক্সড ডিপোজিট
১- সাধারণত ব্যাঙ্ক বা ফিনান্স কোম্পানি (অথবা অন্য কর্পোরেট সংস্থা) থেকে নিতে পারেন।
২- মেয়াদ, সুদের হার, ম্যাচুরিটির তারিখ এবং অন্য জরুরি শর্ত যেন জানা থাকে।
৩- প্রিম্যাচিওর উইথড্রয়াল (মেয়াদপুর্তির আগে ভেঙে ফেলা) সম্ভব, তবে শর্তাধীন।
৪- রেটিং বা এই ধরনের অভিমত সব সময় গ্রাহকের জন্য প্রাসঙ্গিক হলেও ব্যাঙ্ক বা বড় সংস্থার বিষয়ে একেবারে প্রাথমিক শর্তের মধ্যে কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় না।
বন্ড বা ডেবেঞ্চার
১- নানা ধরনের কর্পোরেট সংস্থা বন্ড ইত্যাদি ইস্যু করে টাকা তোলে।
২- লিস্টেড হতে পারে, তবে সব সময় লিকুইডিটি বেশি মাত্রায় নাও হতে পারে। অনেক বন্ডেরই বেচাকেনা তুলনায় কম।
৩- ক্রেডিট রেটিং একটি বড় শর্ত, ইনভেস্টর রেটিংয়ের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেন অনেক সময়।
৪- সরাসরি না কিনে সাধারণ গ্রাহক বন্ড ফান্ডের মাধ্যমে লগ্নি করতে পারেন। তবে ইন্টারেস্ট রেট রিস্ক এবং ক্রেডিট রিস্ক নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার।