shono
Advertisement

পথে বেরলেই ‘সেফ ড্রাইভ…’, অ্যাক্সিডেন্ট পলিসিতে কী না থাকলেই নয়?

অনেক সময় দেখা যায়, স্রেফ বিমার অভাবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত সাধারণ মানুষ আতান্তরে পড়েন।
Posted: 02:18 PM Feb 09, 2024Updated: 02:18 PM Feb 09, 2024

বিপদ কখনও বলে আসে না। রাস্তাঘাটে কখন, কোথায় কীভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়বেন, আঁচ করা অসম্ভব। কিন্তু আগে থেকে সঠিক অ‌্যাক্সিডেন্ট পলিসি করে রাখলে এবং তাতে আপনার প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোর অস্তিত্ত্ব থাকলে, বিপদের পরবর্তী নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তাই কী কী বিষয় অ‌্যাক্সিডেন্ট বিমা পলিসিতে থাকতেই হবে, জানাচ্ছেন অনিমেষ সেন

Advertisement

সারা দেশে প্রতিদিন কতগুলো পথ দুর্ঘটনা এবং অন‌্য বিভিন্ন ধরনের অ‌্যাক্সিডেন্ট হয়, তার খবর কি কেউ রাখে! আমরা বছরের নানা সময় বিভিন্ন সতর্কতা বা সেফটি সংক্রান্ত শিবির আয়োজন করি বটে, কিন্তু অনেকক্ষেত্রে প্রচারের আলো আসল কারণগুলোর উপর পড়ে না। তাই বহু কিছু অজানা থেকে যায়। ঠিক যেমন থেকে যায় অজানা পার্সোনাল অ‌্যাক্সিডেন্ট সংক্রান্ত বিমার সঠিক খবরাখবর। অনেক সময় লক্ষ‌্য করেছি, স্রেফ বিমার অভাবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত সাধারণ মানুষ আতান্তরে পড়েছেন। আধুনিক নাগরিক জীবনে যদি নিশ্চিন্ত থাকতে হয়, অ‌্যাক্সিডেন্ট পলিসি থাকাটা সেই জন‌্য জরুরি হিসাবে গণ‌্য করতে হবে।

[আরও পড়ুন: সঙ্গী কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, প্রতিকূলতা সামলে কেমন হতে চলেছে আসন্ন রাজ্য বাজেট?]

আমরা তো ভবিষ‌্যতের চিন্তায় লগ্নি করেই থাকি, জীবন বিমা নিজের পরিবারের কথা ভেবে কিনে নিতে দ্বিধা করি না। কিন্তু দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে এত উদাসীন কেন, আজও তা ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। অ‌্যাক্সিডেন্টের কারণে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছেন, এমন উদাহরণ তো আমাদের আশেপাশে কম নয়। অঙ্গ বিকল হয়ে পড়লে যে কর্মক্ষেত্রে অশেষ দুর্ভোগ হতে পারে, এ তো জানা কথা। অথচ সাধারণভাবে তলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে যে অ‌্যাক্সিডেন্ট পলিসি ঠিক কতখানি প্রয়োজনীয়। প্রিমিয়াম যদি একটু বেশি দিয়ে বড়-সড় পলিসি কেনেন, তাহলে কভারেজ ভালই পাবেন, এমন আশা করা যায়। বিষয়টি কেবল সুরক্ষার আঙ্গিক দেখুন, যুক্তির সার্থকতা উপলব্ধি করতে নিশ্চয় পারবেন।

এই প্রসঙ্গে কয়েকটি ব‌্যাপার নিয়ে পাঠকদের বলি–

  • ডেথ
  • পার্মানেন্ট টোটাল ডিসএবিলিটি
  • পার্মানেন্ট পার্শিয়াল ডিসএবিলিটি

বিশদে যাচ্ছি না, তবে মনে করিয়ে দিই যে অ‌্যাক্সিডেন্ট পরবর্তী অধ‌্যায়ে অনেক সময় ‘ওয়েজ লস’ হতে পারে। কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সাময়িকভাবে নিজের ব‌্যবসা বা প্রফেশনের দিকে মন দিতে পারলেন না। অতএব রোজগারে ভাঁটা পড়লে, যেমন আকছারই হয়ে থাকে-এই সমস্ত দুর্ঘটনার উপর কারওর নিয়ন্ত্রণ নেই, যখন তখন হতে পারে, তাই না?

এই সব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থা প্রতি সপ্তাহের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেবে। অবশ‌্যই শর্ত থাকবে। তবে তাই-ই বা কম কি! মনে রাখুন, ইন্ডিভিজুয়াল ভিত্তিতে ছাড়াও, ফ‌্যামিলির সঙ্গের অ‌্যাক্সিডেন্ট পলিসির কভারেজ পাওয়া যেতে পারে। যাঁরা বিমা নিতে ইচ্ছুক, তাঁরা যেন কিছু জরুরি বিষয় বুঝে নেন। সঙ্গের তালিকা দেখুন, এগুলো ছাড়াও অন‌্যান‌্য শর্তাবলী থাকতে পারে। সংস্থার সঙ্গে অথবা পরামর্শদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশদে জেনে নিতে হবে।        

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement