ছোট লগ্নিকারীদের জন্য আদর্শ ইনক্রেড মানির নিফটি অ্যাকসিলারেটর মার্কেট লিংকড ডিবেঞ্চার। হাইব্রিড ধরনের এই প্রকল্পে মিলবে ডেট এবং ইক্যুইটি, উভয়েরই সুবিধা। খুঁটিনাটি তথ্য তুলে ধরল টিম সঞ্চয়
ইনক্রেড মানি–এমএলডি
ইনক্রেড মানির Nifty Accelerator Market Linked Debenture ছোট, সাধারণ লগ্নিকারীদের ১৪% রিটার্ন এনে দিতে পারে, পরিস্থিতি ঠিক থাকলে। ‘টিম সঞ্চয়’ খতিয়ে দেখল এই অফারের খুঁটিনাটি। সঙ্গে MLD বা মার্কেট লিঙ্কড ডেবেঞ্চারটির বিষয়ে কয়েকটি তথ্য।
- সাধারণ ক্যাপিটাল প্রোকেটশন পাওয়া সম্ভব হয় এমন ইনস্ট্রুমেন্ট থেকে।
- সাবেক ফিক্সড ইনকাম থেকে যা পান বিনিয়োগকারী, এমএলডি তার থেকে বেশিই দিতে পারে।
- অনেক সংস্থা, যেগুলোর তালিকায় ফিনান্স কোম্পানি আছে, ইদানীং এমএলডি-র মাধ্যমে টাকা তুলছেন বাজার থেকে।
ইনক্রেড মানি–এই বিশেষ অফারটি এক শ্রেণির ‘হাইব্রিড’ প্রকল্প, ডেট এবং ইক্যুইটি–দুই-ই থাকবে একসঙ্গে। নূন্যতম লগ্নির পরিমাণ এক লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। টেন্যুর অর্থাৎ মেয়াদ এক্ষেত্রে ২৬ মাস।
[আরও পড়ুন: স্বচ্ছতার মূলমন্ত্রে নিশ্চিত লাভের আশ্বাস, পরামর্শ বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞের]
ধরা যাক, কোনও লগ্নিকারী একশো টাকা এই এমএলডি-তে বিনিয়োগ করতে চাইছেন। তাঁর ক্ষেত্রে ৮০ টাকা লগ্নি হবে বন্ডে (ফিক্সড ইনকাম পাওয়া যাবে), যা মূলত ক্যাপিটাল প্রোটেকশন বা প্রিন্সিপাল পরিমাণের সুরক্ষা দেবে। বাকি অংশ, ২০ টাকা, বিনিয়োগ হবে স্টক মার্কেটে। এখানে ‘নিফটি কল অপশন’ নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। নিফটি মানে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের মূল সূচক যদি বাড়ে, তাহলে ভালো সুযোগ পাওয়া যাবে। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে বোঝা যাচ্ছে, ৩০ টাকার উপরে যেতে পারে এমন ডেরিভেটিভস-এ লগ্নির কারণে। তাহলে ২৬ মাসের পর লগ্নিকারী পেতে পারেন ১০০ টাকা থেকে প্রায় ১৩০ টাকার মধ্যে রিটার্ন। তবে নির্দিষ্টভাবে বিশেষ কোনও সংখ্যার কথা অবশ্যই আজ থেকে বলা যাচ্ছে না। সর্বাধিক রিটার্ন ১৪% হতে পারে বলে জানানো হচ্ছে।
মনে রাখা উচিত, নিফটি গত কয়েক কোয়ার্টারে বেশ বেড়েছে। তাই বাজারের একাংশ মনে করছেন, আরও বেশি বৃদ্ধি হয়তো এখনই হবে না। এই চিন্তার উপর যাঁরা বিশ্বাস রাখেন না, তাঁরা বাজারে আগামিদিনে আরও লগ্নি করার পক্ষে সওয়াল করেন। এছাড়াও বলা হচ্ছে, এই শ্রেণীর প্রকল্পে কম বিনিয়োগ করে নিজের ‘এক্সপোজার’ স্বল্প পরিমাণে নেওয়াই ঠিক হবে বেশিরভাগ লগ্নিকারীর জন্যই। অবশ্যই সব ধরনের ইনভেস্টরদের জন্য এই প্রকল্প সঠিক বলে গণ্য নয়। একটু রিস্ক নিতে স্বচ্ছন্দ্য, এমন লগ্নিকারী নিজের অ্যালোকেশনের একটি অংশ এমএলডি জাতীয় প্রকল্পে রাখতে পারেন। এই
বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে বিশদে কথা বলা নেওয়া দরকার বলে ‘টিম সঞ্চয়’ বিশ্বাস করে।