Advertisement
ক্রমশ 'দামি' হচ্ছে লালমাটির দেশ, পর্যটনের মরশুমে সেজে উঠেছে পুরুলিয়া, দেখুন ছবি...
মরশুমে লাগামছাড়া হোটেল ও গাড়িভাড়া!
সুন্দরী পুরুলিয়া এখন ভীষণ-ই 'দামি'! এতটাই মূল্যবান যে পুরুলিয়ার পর্যটন ক্রমেই মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। চলতি শীতের মরশুমে বড়দিনের প্রাক্কালে একেবারে নতুন ইংরাজি বছর পর্যন্ত যে কটেজের ভাড়া ছিল ৫ হাজার টাকা, তা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৬ হাজার। যে টেন্টের ভাড়া ছিল সাড়ে ৪ হাজার, তা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার। চারতারা হোটেল নয়, একটা সাধারণ রিসর্টের ডিলাক্স রুমের ভাড়া সাড়ে ৬ হাজার, এক্সিকিউটিভ রুমের ভাড়া ট্যাক্সমেত সাড়ে ৭ হাজার। মোটামুটি একটা ভালো রুম নিতে হলে ২ হাজার টাকার কম নয়।
একই অবস্থা সাইট সিয়িং-র গাড়িভাড়াও। একদিনে অযোধ্যা পাহাড় সার্কিট ছোটগাড়ির ভাড়া যেখানে আড়াই হাজার টাকা হয়, তা এই শীতের মরশুমে দাঁড়িয়েছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার। বড় গাড়ি যেখানে ভাড়া ৩ হাজার হয়ে থাকে, সেখানে নেওয়া হচ্ছে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার। গড় পঞ্চকোট সার্কিটের অবস্থাও এক। রুম থেকে গাড়ি এই বিপুল ভাড়ায় রীতিমতো সমস্যায় পড়ছেন পর্যটকরা।
পর্যটকদের ক্ষোভ, অসন্তোষ ঝরে পড়ছে ছোট গাড়ি বা বড় গাড়ির চালকদের উপর। এদিকে যে হারে বিপুল পর্যটকের সংখ্যা পুরুলিয়ায় বেড়েছে। সেই অনুপাতে কলকাতা ও শহরতলি থেকে এই জেলায় আসার পর্যাপ্ত ট্রেন নেই। কলকাতা-শহরতলি থেকে দীর্ঘ পথ বাসে আসতে যেমন ধকল। তেমনই গাড়ি করে আসলে খরচা অনেকটাই বেশি। আর এদিকে হোটেল আর সাইট সিয়িং ঘুরতে গিয়ে মাথায় হাত পড়ছে পর্যটকদের।
পুরুলিয়া হোটেল অ্যান্ড লজ অ্যাসোসিয়েশনও মেনে নিয়েছে এই কথা। পুরুলিয়া হোটেল অ্যান্ড লজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহিত লাটা বলেন, "সত্যিই পুরুলিয়া অনেকটাই দামি হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে সরকারি হস্তক্ষেপে একটা মোটামুটি ভাড়া যেমন বেঁধে দেওয়া হয়, তেমনটা করা উচিত। যদিও এটা সার্ভিসের বিষয় তবুও। না হলে এই জেলার পর্যটন ব্যবসা মার খেয়ে যাবে।" গত তিন বছর ধরে এই ছবি দেখা যাচ্ছে পুরুলিয়ায়। তা অযোধ্যা সার্কিট হোক বা গড় পঞ্চকোট। কিম্বা দক্ষিণ পুরুলিয়া সার্কিট। ২ হাজার টাকার নিচে ভালো রুম মিলছেই না। গড় পঞ্চকোটে তো রুম ভাড়া আরও বেশি।
বাঘমুন্ডি হোটেল ও লজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুজিতচন্দ্র কুমার বলেন, "বিনিয়োগকারীরা হোটেল ভাড়া মোটামুটি বেঁধে রেখেছেন। এখানে মাটির গন্ধ রয়েছে। আকাশছোঁয়া ভাড়া হতে পারে না। আর গাড়ি ভাড়া বাড়ছে ট্রেনের জন্য। পর্যাপ্ত ট্রেন না থাকার কারণেই বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে পর্যটকদের।" বাঘমুন্ডির হোটেল ব্যবসায়ীদের কথায়, জঙ্গলমহল পুরুলিয়ার সদর শহর পুরুলিয়া শহর হলেও অযোধ্যা সার্কিটের মূল জায়গা বরাভূম স্টেশন বা বলরামপুর সেই সঙ্গে বাঘমুন্ডি। তাই তারা পর্যটকদেরকে সবসময়ই ট্রেনে এলে বরাভূম স্টেশনে নামতে বলেন। কিন্তু হাওড়া-চক্রধরপুর ছাড়া বরাভূম স্টেশনে কলকাতা থেকে আসার কোনও ট্রেন নেই। আগে রূপসী বাংলা বরাভূম স্টেশন পর্যন্ত আসত। বহুদিন ওই ট্রেন আর এই স্টেশন পর্যন্ত আসে না।
এই জেলায় সমস্ত পর্যটন পরিকাঠামো মিলিয়ে ২০০ টি হোটেল, লজ, কটেজ, রিসর্ট, সরকারি আবাস রয়েছে। যেখানে ফি দিন থাকতে পারে প্রায় ১০ হাজার জন পর্যটক। এমন ভরপুর পর্যটনের জেলায় যেখানে ছয় ঋতুতে ছয়টি রূপ বদলায় এমনই সৌন্দর্য এই বনমহলের। সেখানে যেভাবে পর্যটনের আনন্দ নিতে খরচ হচ্ছে তাতে অনায়াসে দার্জিলিং ঘোরা হয়ে যায়। অথচ গত বছরের হিসাব বলছে, দার্জিলিং-র পর্যটনের সঙ্গে রীতিমতো পাল্লা দিয়েছে পুরুলিয়া।
বাঘমুন্ডি হোটেল লজ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বলেন, "এই বিষয়ে প্রশাসনকে ভাবতেই হবে। না হলে পুরুলিয়ার পর্যটন ভবিষ্যতে কোন জায়গায় যাবে, তার আঁচ যেন এখন থেকে পেয়েই আশঙ্কা বোধ করছি। সৌন্দর্যে পুরুলিয়া দার্জিলিং-র সঙ্গে রীতিমতো পাল্লা দিচ্ছে এটা খুবই ভালো কথা। কিন্তু এতটা দর হাঁকানো বোধহয় ঠিক হচ্ছে না আমাদের।"
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি নির্ভরতা বেড়ে চলেছে। আর চলতি বছরে চর্চায় আসা Ring Mouse এরই প্রমাণ। এখন কাজের অবসর যাপনের রসদ হয়ে উঠেছে রিল, সোশাল মিডিয়া-রিল। কিন্তু দিনভর পরিশ্রমের পর স্ক্রল করার এনার্জি টুকুও থাকে না অনেক সময়। সেক্ষেত্রে আদর্শ এই Ring Mouse। আংটির মতো হাতে পরে নিয়ে স্ক্রল হুইলে টাচ করলেই একের পর এক রিল ভেসে উঠবে স্ক্রিনে।
একটা সময় অ্যাপলের যে কোনও গেজেট ছিল মধ্যবিত্তের আয়ত্তের বাইরে। কিন্তু সময়-পরিস্থিতি বদলেছে। এখন হাতে হাতে আইফোন, এয়ারপড বললে ভুল বলা হবে না। যারা অ্যাপেলের একাধিক গেজেট ব্যবহার করেন তাঁদের জন্য আদর্শ চলতি বছরে বাজারে Esr 3 in 1 charging station। এটি ব্যবহার করে একইসঙ্গে চার্জ দিতে পারবেন ফোন, এয়ারপড ও অ্যাপেল ওয়াচ।
ইন্টারনেটের যুগে ছুটির পরও অফিস সঙ্গে নিয়েই বাড়ি যেতে অনেককে। ঘুরতে গেলেও অফিসের কাজ, ডেডলাইন থেকে পুরোপুরি নিস্তার মেলে না। ফলে ভ্যাকেশন মোডেও ল্যাপটপ খুলে বসতে হয়। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে Foldable bluetooth keyboard। মোবাইলের সঙ্গে কানেক্ট করে নিলেই কেল্লাফতে। ফোল্ডেবল হওয়ায় এটা ক্যারি করাও খুব সহজ। দামও আয়ত্তের মধ্যে।
Published By: Suhrid DasPosted: 02:42 PM Dec 24, 2025Updated: 03:18 PM Dec 24, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
