সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেশাগত কারণে সন্তানের জন্মের মুহূর্তে স্ত্রীয়ের পাশে থাকতে পারেননি। কিন্তু বাবা হওয়ার খবর পাওয়া মাত্র অস্ট্রেলিয়া থেকে সোজা দেশে ফেরেন রোহিত শর্মা। আর এবার প্রথমবার বাবা হওয়ার আনন্দ ভাগ করে নিলেন পরিবার ও ভক্তদের সঙ্গে। ইনস্টাগ্রামে মেয়ের প্রথম ছবি পোস্ট করলেন ভারতীয় দলের হিটম্যান।
[ভারতের বড় রানের জবাবে সিডনিতে সাবধানী অস্ট্রেলিয়া]
গত রবিবার বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ধরাশায়ী করে ইতিহাস গড়েছিল বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়া। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর মেলবোর্নে জিতে নজির গড়ে ভারত। আর ঠিক সেদিনই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন রোহিত-পত্নী ঋতিকা সচদেব। ঋতিকার তুতো বোন সীমা খান সোশ্যাল মিডিয়ায় সে খবর নিশ্চিত করে জানান, তিনি মাসি হয়েছেন। ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তাঁর দিদি ঋতিকা। খবর পাওয়া মাত্র দেশে ফেরার জন্য ছটফট করতে থাকেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। চতুর্থ তথা শেষ টেস্টে তাঁর খেলার কথা থাকলেও ছুটি নিয়ে স্ত্রীয়ের কাছে দ্রুত ফিরে আসেন। আপাতত বাইশ গজের লড়াই ছেড়ে সদ্যোজাতর বাবা ভূমিকা পালন করছেন রোহিত। কেমন দেখতে হল তাঁর কন্যাসন্তানকে? না, এই পোস্টে তা স্পষ্ট হল না। কারণ এ ছবিতে সদ্যোজাতর নরম-কচি হাতটি দেখা যাচ্ছে মাত্র। ছবির নিচে রোহিত মেয়ের হয়ে লিখেছেন, “হ্যালো ওয়ার্ল্ড। ২০১৯ সকলের ভাল কাটুক।” ছবি পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। লাইক আর কমেন্টের বন্যা বইতে শুরু করে।
ঋতিকা যে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, বেশ কয়েকমাস তা একপ্রকার গোপনই ছিল। তবে রোহিত শেষমেশ তাঁর উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি। সম্প্রতি মাইকেল ক্লার্কের সঙ্গে একটি ভিডিওয় তিনি জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই বাবা হতে চলেছেন। সতীর্থরাও তাঁকে নিয়ে মশকরা শুরু করে দিয়েছিলেন। বাবা হয়ে আনন্দের বাঁধ ভেঙেছে মুম্বইকরের। প্রথমবার মা হওয়ার পর এমনই একটি পোস্ট করেছিলেন টেনিসতারকা সানিয়া মির্জাও। পরে অবশ্য ছেলের নাম জানিয়ে ইজহান মির্জা মালিকের মুখ দেখিয়েছিলেন বিশ্বকে। এবার রোহিতের মেয়ের ছবি ঘিরেও কৌতূহল বেড়েছে। তার নাম জানতে এবং মিষ্টি মুখখানি দেখার অপেক্ষায় অনুরাগীরা। আগামী ৮ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন রোহিত। তখন থেকেই ওয়ানডে-র জন্য প্রস্তুতি শুরু করবে দল।
[অজি বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করলেন ‘বেবিসিটার’ পন্থ, সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গড়লেন ইতিহাস]
The post মেয়ের মিষ্টি ছবি পোস্ট করলেন রোহিত appeared first on Sangbad Pratidin.