সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেদারনাথ (Kedarnath) যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ভেঙে পড়ল যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার (Copter Crash)। বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থীর মৃত্য়ুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। পাহাড়ের ঢালে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, পাইলট-সহ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
ফাটা এলাকা থেকে কেদারনাথের উদ্দেশে কপ্টারে রওনা হয়েছিলেন মোট ৮ জন। রুদ্রপ্রয়াগের (RudraPrayag) কাছে গরুড় চটির কাছে মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রীবাহী কপ্টারটি। এখান থেকে কেদারনাথ মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে। সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধারকারী দলের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্য়ে ২ জন পাইলট (Pilot)। খারাপ আবহাওয়ার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।
[আরও পড়ুন: লক্ষ-লক্ষ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, হলদিয়ার প্রাক্তন পুরপ্রধানের নামে হুলিয়া জারি আদালতের]
আরও জানা গিয়েছে, গরু চটি থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ‘আরিয়ান’ (Aryan) কপ্টারটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর রুদ্রপ্রয়াগের কাছে তা ভেঙে পড়ে। উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে সঙ্গে সঙ্গেই পাঠানো হয় উদ্ধারকারী দল। তাঁরা পাহাড়ে খাঁজ থেকে মোট ৭টি দেহ উদ্ধার করেছেন। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। ঠিক কী কারণে কপ্টারটি ভেঙে পড়ল, তা এখনও অজানা।
[আরও পড়ুন: ৪১.৫ কোটি কমার পরেও ভারতই বিশ্বের সর্বাধিক দরিদ্রের দেশ, রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের]
পাহাড়ি পথে কপ্টার বিপর্যয় নতুন নয়। এর আগেও রুদ্রপ্রয়াগের কাছে কপ্টার ভেঙে পুণ্যার্থীদের মৃত্য়ু হয়েছিল। তবে সাধারণত সেনাবাহিনীর কপ্টারই এ পথে ওড়ানো হয়। সেই কপ্টারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কেন ওড়ানোর আগে কপ্টার পরীক্ষা করা হল না? কেনই বা যাত্রীবাহী কপ্টারগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না?
এদিন মালবাজারে প্রশাসনিক বৈঠক করাকালীন এই দুর্ঘটনার খবর পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কানে। তিনি জানতে চান, কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল? শোকপ্রকাশ করে বলেন, ”পাহাড়ি পথে বরাবরই ঝুঁকিপূর্ণ কপ্টার যাত্রা। আমি যখন যাই, আমারও বুক কাঁপে মাঝেমধ্যে। ওঁদের জন্য আর কী-ই বা বলতে পারি? সমবেদনা রইল। ”