সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ বমি করছেন! কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন বার বার! গোটা বিমানজুড়ে এই একই দৃশ্য! ঘামের এত প্রবল, এত মারাত্মক দুর্গন্ধ যে আধ সেকেন্ডও নাকে রুমাল না চেপে বসে থাকা যাচ্ছে না। রুমাল সরল কি গা গুলিয়ে একেবারে একসা কাণ্ড! অগত্যা, স্পেনের গ্র্যান ক্যানারিয়ার বদলে দক্ষিণ পর্তুগালের ফার্গো শহরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হল ট্র্যান্সঅ্যাভিয়া সংস্থার একটি যাত্রীবাহী বিমান।
আজ্ঞে হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে! কোনও একজন যাত্রীর শরীর থেকে ভেসে আসা অসহনীয় দুর্গন্ধের জন্য বিমান ‘এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং’ করতে বাধ্য হয়েছে। অনুমান, যে যাত্রীকে নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত, তিনি সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ স্নান করেননি। প্রথমটায় দুর্গন্ধের উৎস ঠাহর করা না গেলেও বিমান ওড়ার পর থেকেই একে একে তাঁর আশপাশের সিটে বসা যাত্রীরা অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন৷ কেউ গন্ধের চোটে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কেউ ছোটেন শৌচাগারে বমি করতে৷
বেলজিয়ামের এক যাত্রী পিয়েত ভ্যান হউতের দাবি, “অসহ্য, অবর্ণনীয় রকম দুর্গন্ধ আসছিল ওই ব্যক্তির দেহ থেকে। ওর চারপাশের যাত্রীদের একজনও সিটে বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেনি। একে একে সকলে উঠে যাচ্ছিলেন শৌচাগারের দিকে। কেউ বেশিক্ষণ টিকতেই পারছিলেন না এক জায়গায়।” এদিকে, ঘটনার জেরে শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে শৌচাগারে গিয়ে দাঁড়াতে বলেন বিমানকর্মীরা। তারপরই পর্তুগালের ফার্গো শহরে ওই বিমানের জরুরি অবতরণ করিয়ে ‘গন্ধওয়ালা’ যাত্রীটিকে নামিয়ে দেওয়া হয় বিমান থেকে। তবে ট্রান্সঅ্যাভিয়া সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের মুখপাত্র জানিয়েছেন, চিকিৎসাগত কারণের জেরে বিমানটি জরুরি অবতরণ করেছে।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দুবাই থেকে আমস্টারডামগামী ট্রান্সঅ্যাভিয়া সংস্থারই একটি বিমান অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছিল। কারণ, বিমানেরই এক যাত্রী ক্রমাগত বায়ু নিঃসরণ করছিলেন। যার জেরে তাঁর সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়িয়ে পড়েন সহযাত্রীরা৷